1/7 সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে, কখনও ত্বকের যত্ন কম হয়, কখনও চুলের যত্ন। আর এই দুইয়ের অযত্নে রূপ হারায় জেল্লা। চুল হোক বা ত্বক উজ্জ্বলতা কমলেই তার ছাপ পড়ে রূপে। এদিকে, ত্বকের দাগছোপ আর চুলের নিয়মিত ঝড়া, বা খুশকির সমস্যায় অনেকেই কাবু! যদি একটিই তেল দিয়ে এই দুই সমস্যাকে জব্দ করা যায়? এমন উপায় রয়েছে।
2/7 রসুন তেল এমনই একটি জিনিস , যা দিয়ে ত্বক আর চুলের সমস্যাকে কাবু করা যায়। বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় এই তেল। এই তেল বাড়িতে কীভাবে বানাবেন, তা জানার আগে দেখে নিন এই রসুন তেলের উপকারিতা।
3/7 চুল পড়া- রসুন তেলে রয়েছে সালফার, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি। যার ফলে স্ক্যাল্পের ত্বক ও স্বাস্থ্য দুইই ভালো হয়। চুলের গোড়া হয় মজবুত। এই তেলের উদ্ভট গন্ধের ফলে অনেকেই নাক সিঁটকে নেন। তবে এই তেল দিয়ে ভালো করে মাথায় মাসাজ করলে, মেলে উপকার।
4/7 খুশকি- চুলের যত্নে অন্যতম বড় বিষয় হন খুশকি। খুশকির সমস্যা দূর করতে এই রসুন তেল অত্যন্ত উপকারি। মাথায় কোনও রকমের ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ আসা থেকে এই তেল রুখে দেয়। এছাড়াও স্ক্যাল্পের প্রদাহজনিত সমস্যাকে রোখে রসুন তেল। ফলে খুশকি রুখতে এই তেল মোক্ষম অস্ত্র।
5/7 ত্বকে জেল্লা ফেরাতে- রসুনে থাকা অ্যান্টি ফাংগাল উপাদান ত্বকে কোনও রকমের সংক্রমণ আসতে দেয় না। যে সমস্ত জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত, সেখানে সপ্তাহে একবার রসুন তেল সামান্য গরম করে লাগিয়ে নিন, পাবেন উপকার। ত্বকে থাকা ভাঁজ, কালো ছাপ দূর করতে এটি কার্যকরি। এছাড়াও ত্বকে নতুন কোষ তৈরিতেও এটি সাহায্য করে।
7/7 রসুন তেল কীভাবে তৈরি করা যায়- বাড়িতে ৫ থেকে ৮ টি রসুনের কোয়া নিন। ভালো করে সেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র নিয়ে তাতে আধকাপ মতো সরষের তেল নিন। সরষের তেলের জায়গায় নারকেল তেল বা অলিফ অয়েল নিতে পারেন। তারপর তেল গরম করে তাতে রসুনের কোয়া ফেলে দিন। রসুন যাতে পুড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে দিন ১ চামচ মেথি। এরপর তা নাড়তে থাকুন। রসুন ব্রাউন হলে তা তুলে নিন। তেল ছেঁকে নিন। এই তেল বোতলে ভরে ৫ মাস থেকে যাবে এই তেল।