অনেকে হাড় ক্ষয়ের সমস্যায় ভোগেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা চোখে পড়ে। তা বলে উচ্চতাও কমে যাবে, এটা কী করে সম্ভব? বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করি হাঁটুর ব্যথা, কোমরে ব্যথা। এছাড়া জয়েন্টের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়ছে অনেকে। শুধু তাই নয় কমে যেতে পারে উচ্চতাও। হঠাৎ করেই এর বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যায়। বয়স যখন ৪০ দোরগোড়ায় তখনি এমন সব লক্ষণগুলি সামনে আসে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগটির নাম অস্টিয়োপোরোসিস।
অনেকেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে সমস্যায় পড়েন, তার মধ্যে অন্যতম হল অস্টিয়োপোরোসিস। অস্টিয়োপোরোসিস মানে হল হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া। বয়সের সঙ্গে মজবুত হাড় নরম হয়ে পড়ে। তখনই শুরু হয় তীব্র যন্ত্রণা। প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষ্য না করা গেলেও, ধীরে ধীরে তা হাঁটু থেকে পিঠের যন্ত্রণায় পরিণত হয়। আসলে হাড়ে জল শুকিয়ে গেলে, মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কমে যায়। তার ফলের কমে যায় উচ্চতা। এর থেকে রেহাই পাওয়ার একমাত্র উপায় খাওয়ার-দাওয়ারের ওপর নিয়ন্ত্রণ। উচ্চ প্রোটিন, খনিজ যুক্ত খাবার খাওয়া। দেখে নিন কী কী উপযোগী হাড়ের জন্য।
ক্যালসিয়াম
হাড়ের জন্য ক্যালশিয়াম যুক্ত খাবার এক মোক্ষম দাওয়াই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ১০০০-১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন হয়ে থাকে। দুধ ক্যালশিয়ামের ভাণ্ডার। যদিও অনেকের দুধ খেয়ে হজম হয় না, সেক্ষেত্রে তারা সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন। দুধ হাড়ের জন্য খুবই উপযুক্ত।
ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক
মাংস, ডিম, কিংবা ডাল ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কের উৎস। এছাড়া পালংশাক ও বাদামেও এই উপাদানগুলি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই দুই মৌল হাড়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ভিটামিন
আমরা জানি, সুস্থ শরীরের জন্য ভিটামিন খুবই প্রয়োজনীয়। যে কোনও রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভিটামিনযুক্ত খাবার-খাওয়ার পরামর্শ ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। ভিটামিন কে হাড়কে সুস্থ রাখে। রোধ করে হাড়ের ক্ষয়। ভিটামিন কে প্রচুর পরিমাণে আছে, সবুজ শাক-সবজি, সামুদ্রিক মাছেতে।
গ্রোথ বারানোর জন্য প্রচুর সাপ্লিমেন্ট বাজারে পাওয়া যায়। যদিও সঠিক পরামর্শ ছাড়া, এই ধরনের সাপলিমেন্ট ব্যবহার করা অনুচিত। সব সাপ্লিমেন্ট শরীরের জন্য ঠিক নয়। তাই, ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া খেলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।