বিশ্ব উষ্ণায়নের সঙ্গে সঙ্গে জলতল বেড়ে চলেছে। তবে এরই সঙ্গে এবার নয়া আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। শুধুই জলতল বেড়ে চলেছে তা নয়। বসে যাচ্ছে মাটিও। আর এমনটা চলতে থাকলে সারা বিশ্বের বদ্বীপগুলি যে কোনও দিন ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হবে। সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এল। মাটি বসে যাওয়ার পিছনে কারণ কী? বিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবী জুড়ে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কাজকর্মের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। আর সেই জন্যই বসে যাচ্ছে মাটি।
আরও পড়ুন: ইয়াব্বড় ফাটল আফ্রিকার মরুভূমিতে, দু’ভাগ হয়ে যাবে মহাদেশ! আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা
ঠিক কী ধরনের কাজকর্ম প্রভাব ফেলছে মাটির উপর? স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের কথায়, অতি মাত্রায় ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন, বিভিন্ন হাইড্রোকার্বন যৌগ উত্তোলনের কারণে মাটির জৈব প্রকৃতি নষ্ট হচ্ছে। মাটির জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে বলে মাটিও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর ফলেই দিন দিন বসে যাচ্ছে মাটি। অন্যদিকে তুলনায় সমুদ্রের জল একটু একটু করে বাড়তে থাকায় বিপদ আরও ঘনিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: কয়েক বছর পর আর হয়তো দেখতেই পাবেন না, পৃথিবী থেকে চিরতরে ফুরোচ্ছে এই ৫ জিনিস
বিজ্ঞানীদের মতে, ঘন বনাঞ্চল বা গাছ মাটির এই ক্ষয় আটকাতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে অনেকটাই। পর্যটন শিল্পের কারণে মাটি খোঁড়াখুড়ি, দিনের পর দিন ইমারত নির্মাণ এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া দীর্ঘ এলাকা জুড়ে চাষের খেত থাকায় সমস্যা বাড়ছে বৈ কমছে না। মাটি যত বসে যাবে, ততই আপেক্ষিকভাবে উঁচু হতে থাকবে সমুদ্রের জলতল। এখনই পরিস্থিতি সামাল না দিলে এই শতাব্দীর শেষে অনেক বদ্বীপই জলের তলায় ডুবে যাবে।
আরও পড়ুন: রোজ ঘুমের আগে এগুলি করেন? অজান্তেই বড় বড় রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে
বিজ্ঞানী রাফায়েল স্মিথের কথায়, মানুষের কিছু বিবেচনাহীন কাজের জন্য এমন বিপদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে পৃথিবী। সমুদ্রের মাঝে বদ্বীপের সংখ্যা কম হলেও নদীর মাঝে বদ্বীপগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের জিডিপির ৪ শতাংশ এই বদ্বীপগুলি থেকে আসে। ঘটনাচক্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বদ্বীপ গাঙ্গেয় বদ্বীপ। ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার দুই শাখা নদী মিলে তৈরি করেছে এই ২৫০ কিমি চওড়া বদ্বীপ। স্বাভাবিকভাবে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গও একই বিপদের মুখে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup