আরে হাসিখুশি থাকলেই দেখবি সমস্ত রোগ দূরে পালাবে-- এই কথা নিশ্টয়ই অনেকের মুখেই শুনেছেন। সে আপনার পেট খারাপ হোক বা মাথাব্যথা, কিছু লোকের কাছে নিজের শারীরিক সমস্যা নিয়ে বলতে গেলেই শুনতে হয়, ‘এত চিন্তার কারণেই এসব হচ্ছে। মন খুলে হাসলে আর কোনও সমস্যা হবে না।’ যদিও একথা ১০০ শতাংশ খাঁটি না হলেও, কিছুটা ঠিক বটে। মন ভালো থাকলে মস্তিষ্ক থেকে সেরেটোনিন হরমোন বেশি পরিমাণে নির্গত হয়। এটি দুশ্চিন্তা কমায়, মাথা পরিষ্কার রাখে! ফলে চিন্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কাজে উন্নতি করার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় বেশ খানিকটা!
আনন্দ, ভালোলাগা, খুশি এবং কোনো সাফল্য অর্জনের ফলে মানুষের মধ্যে যে পজিটিভ আবেগ সঞ্চারিত হয় তা ফুটে ওঠে হাসির মাধ্যমে। হাসা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে কিছু কিছু গবেষণায় অতিরিক্ত হাসির কুপ্রভাবের কথাও উল্লেখ রয়েছে। বিশেষ করে খুব জোরে হাসির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় বলেই সেখানে উঠে এসেছে। চলুন চট করে একবার সেগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
১. প্রথমেই বলে রাখা ভালো এখানে জোরে হাসি বলতে অট্টহাসিকেই বুঝিয়েছে। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সব হাসি স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গলকর বরং অট্টহাসি ডেকে আনতে পারে বিভিন্ন ধরনের দুর্ভোগ। বিশেষ করে যাঁদের হার্ট দুর্বল বা যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে।
২. হঠাৎ অট্টহাসির কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, ফুসফুস অকেজো হওয়া, হার্নিয়ায় রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়া, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম স্নায়ুতে চাপ এবং গেলাস্টিক সেইজারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফলে হাসতে হাসতে মৃত্যু হতে পারে বলে ওই গবেষণায় দেখানো হয়েছে।
৩. আপনার জোরে হাসির ফলে থুতু ছেটে বেশি! তাই আপনার শরীরে থাকা জীবাুও অনেক দূরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে, এসব নিয়ে বেশি না ভেবে মন খুলে হাসুন। অর্থাৎ হাসিখুশি থাকুন। অট্টহাস্য নয় নাই বা হাসলেন!