প্রতি বছর দু'বার করে পালিত হয় মহা শিবরাত্রি। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রথম মহাশিবরাত্রি পালিত হয় ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে এবং দ্বিতীয়টি পালিত হয় শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে। ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে ফাল্গুন মাসে মা পার্বতীর সঙ্গে শিবের বিয়ে হয়েছিল। তাই প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে মহা শিবরাত্রি পালিত হয় মহা আড়ম্বরে। এই দিনে মা পার্বতী ও ভগবান শিবকে চারটি প্রহর ধরে পূজা করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে জীবনের সমস্ত দুর্দশা দূর হয় এবং ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি আসে।
এই দিন বেশিরভাগ বাড়িরই মহিলারা উপোস করে ভগবান শিবের পুজো করেন। পুজো শেষে সাবুর এই বিশেষ পায়েস খেয়ে উপোস সম্পূর্ণ করতে পারেন। রেসিপি জানতে পড়তে থাকুন।
রান্নার উপকরণ:
- ১/২ কাপ সাবুদানা
- ৩ এলাচ
- ১ তেজপাতা
- ১ চা চামচ ঘি
- ৩/৪ কাপ চিনি
- কিসমিস, কাজু (যতটা প্রয়োজন)
- ৪.৫ কাপ দুধ
রান্নার নির্দেশাবলী:
ধাপ ১) সাবুদানা ২ ঘণ্টা থেকে ৩ ঘণ্টা ধরে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর অতিরিক্ত জল ঝরিয়ে নিয়ে অন্যান্য সমস্ত উপাদান একত্রিত করুন।
ধাপ ২) কড়াইতে দুধ ঢেলে ফুটিয়ে নিন। এলাচ যোগ করুন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন ৫ থেকে ৬ মিনিট ধরে। তারপরে এর উত্তর সাবুদানা যোগ করে আরও ৪ থেকে ৫ মিনিট ধরে অবিরাম নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না দুধ ঘন হতে শুরু করে।
ধাপ ৩) মনে রাখবেন, সাবুদানা নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে। তারপর সব ঠিকঠাক থাকলে দেখবেন সাবুদানা ধীরে ধীরে ফুলে মোটা হয়ে যাচ্ছে এবং দুধও ঘন হয়ে গিয়েছে। এই পর্যায়ে কেটে রাখা কাজু বাদাম, ঘি এবং চিনি যোগ করে নিন।
ধাপ ৪) আরও কয়েক মিনিট সিদ্ধ করুন, চিনি সম্পূর্ণরূপে গলে যাওয়ার পর গ্যাস বন্ধ করুন, ঠাণ্ডা হওয়ার পরে এটি আরও ঘন হয়ে যাবে। দেখবেন, এইভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সাবুদানার ক্ষীর। তারপর ক্ষীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর কিসমিস দিয়ে দিন।
ধাপ ৫) নিজের পাশাপাশি কাজু দিয়ে সাজিয়ে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। বানানোর ৫ ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টা পর পরিবেশন করবেন, এর স্বাদ আরও ভালো হবে।