সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময়ে নারীর মৃত্যুর হার কমেছে। সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রজননকালে মৃত্যুর উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৪-১৬ সালে প্রতি লক্ষে ১৩০ জন মাতৃমৃত্যুর তুলনায় ২০১৮-২০ সালে তা ৯৭ জনে কমে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এই উন্নতির জন্য মোদী সরকারের উদ্যোগকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
মাতৃমৃত্যুর বিষয়ে কয়েকটি তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO ইতিমধ্যেই বলেছে। এই বিষয়টিকে সংজ্ঞায়িত করে বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় বা গর্ভপাতের পর ৪২ দিনের মধ্যে একজন মহিলার মৃত্যু হলে তাকে মাতৃত্বকালীন মৃত্যু বলা হবে। ভারতে মাতৃমৃত্যুর হার ২০১৭-১৯ সালে ১০৩ এবং ২০১৪-১৬ সালে ১৩০ ছিল। আর সেখান এটি ২০১৮-২০ সালে ৯৭ জনে নেমে এসেছে। এটিকেই উল্লখেযোগ্য কৃতিত্ব বলে মনে করছেন অনেকেই।
এই রিপোর্টটি আসার পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাণ্ডব্য টুইট করেছেন, মাতৃমৃত্যুর হার কমে যাওয়ার বিষয়টি। তিনি বলেছেন স্বাস্থ্য পরিষেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির কারণেই মায়েদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিরও উন্নতি হচ্ছে। সুস্থ মাতৃত্ব ও প্রসবকালীন যত্ন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা উদ্যোগ এই বিষয়টিতে সাহায্য করেছ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আসামে, এক লক্ষ মহিলার মধ্যে ১৯৫ জন মহিলা সন্তান প্রসবের সময় মারা গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যা ১৭৩ এবং উত্তরপ্রদেশে ১৬৭। বিহার, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ অনেক রাজ্যে মাতৃমৃত্যুর হার এখনও ১০০-র বেশি। কেরালায় মাতৃমৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। সেখানে এটি ১৯ জন। আগামী দিনে ভারতে এই বিষয়ে আরও উন্নতি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।