করোনার ওমিক্রন রূপটির বাড়াবাড়ি হওয়ার পরে বদলে গিয়েছে এই সংকটের অনেক ছবি। এখন বলা হচ্ছে, চালু টিকা ওমিক্রনের মতো করোনার রূপের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না। বা টিকার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না।
এই অবস্থায় কি বদলাতে পারে সরকারি টিকা-নীতি? এবার কি সবাইকেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে?
হালে এক সরকারি আধিকারিকের কাছে এই প্রসঙ্গে চজানতে চাওয়া হয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনই এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।
‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যই হল ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে যারা, তাদের টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ করা। ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশের প্রথম ডোজ হয়ে গিয়েছে। ১৭ শতাংশের দুটো ডোজই সম্পূর্ণ। আগে এই বয়সের সকলের দুটো ডোজ হোক— তার পরে বাকিটা ভাবা যাবে।’ বলেছেন সেই আধিকারিক।
এখন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের শারীরিক নানা সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বুস্টার দেওয়া হচ্ছে। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘এখনও পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন কোনও গাইডলাইন দেয়নি, যা থেকে মনে হতে পারে, সকলেরই বুস্টার ডোজ দরকার।’
তাই আপাতত সকলের বুস্টার ডোজ হচ্ছে না। যাঁদের প্রয়োজন আছে, সেই সব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং কোমর্বিডিটি থাকা বয়স্কদের দেওয়া হচ্ছে বুস্টার। টিকাকরণের কাজ আরও অনেক খানি এগিয়ে গেলে তবে সকলের বুস্টারের কথা ভাবা যেতে পারে। তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।