ছাত্রদের কাছে মোবাইল না থাকা যে সাফল্যের অন্যতম কারণ, তা মাধ্যমিক ফলপ্রকাশের দিনই বলেছিলেন প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ। ছ'দিন পরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করার পরে ঠিক একই কথা বললেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র নিলয় চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ফোন ব্যবহার করার অনুমতি ছিল না। যা সাফল্যের একটা বড় কারণ। ফোন না থাকায় মনসংযোগ ব্যাহত হয়নি। নড়ে যায় না ফোকাস। বরং জোর দেওয়া হয় খেলাধুলোর উপর। পড়ুয়ারা নিয়মিত খেলাধুলো করেন। ফলে পড়াশোনার প্রতি মনসংযোগ বৃদ্ধি পায়। সেইসঙ্গে নিলয় জানান, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে যে একটা পরিবেশ এবং শৃঙ্খলা আছে, তা সব পড়ুয়াকেই সাহায্য করে। যেভাবে মহারাজরা তাঁকে সাহায্য করেছেন, সেজন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র।
উচ্চমাধ্যমিকে নিলয়ের কী কী বিষয় ছিল? কত পেয়েছেন?
একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র নিলয়ের অর্থনীতি, স্ট্যাটিস্টিক্স, অঙ্ক এবং কম্পিউটার সায়েন্স ছিল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলায় পেয়েছেন ৮২ নম্বর। ৯৮ নম্বর পেয়েছেন ইংরেজিতে। অর্থনীতিতে ৯৬ নম্বর পেয়েছেন। সর্বোচ্চ ১০০ নম্বর পেয়েছেন অঙ্কে। স্ট্যাটিস্টিক্সে ৯৯ নম্বর উঠেছে। আর কম্পিউটার সায়েন্সে ৯৮ নম্বর পেয়েছেন নিলয়। সবমিলিয়ে ৪৯১ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। যা শতাংশের বিচারে ৯৮.২ শতাংশ।
কীভাবে পড়াশোনা করতেন নিলয়?
নিলয় জানান, প্রথম দিকে দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। যতক্ষণই পড়াশোনা করতেন, ততক্ষণই একেবারে মন দিয়ে পড়ে নিতেন। আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে স্বভাবতই পড়াশোনার চাপ বেশি ছিল। সেজন্য পড়াশোনার জন্য দিনে আরও কিছুটা বেশি সময় ব্যয় করতে থাকেন।উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থানাধিকারীর কথায়, ‘যখন দরকার হয়েছে, তখন আরও বেশি সময় ধরে পড়াশোনা করেছি। শেষের দিকে (উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার আগে) দৈনিক ১০-১২ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতাম। কিন্তু শুধু পড়াশোনা নয়, সবদিকেই মন দিয়েছি। এভাবেই (এরকম) রেজাল্ট হয়েছে।’
ভবিষ্যতে কী হতে চান নিলয়?
নিলয় জানিয়েছেন, আগামিদিনে স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। আর ভবিষ্যতে সংখ্যাতত্ত্ববিদ হতে চান বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র।
আরও পড়ুন: HS Topper 2024: উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নজর কাড়ল চন্দননগরের যমজ বোন, কী নিয়ে পড়বে দুজনে?