Ancient Civilizations and Pathogens: বহু সভ্যতাই ধ্বংস হয়েছে সংক্রামক রোগের কারণে, এমনই বলছে গবেষণা

পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একাধিক সভ্যতা ব্রোঞ্জ যুগে একই সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। নেপথ্যে ছিল রোগবাহী জীবাণু।

আদিম সভ্যতা ধ্বংসের নেপথ্যে প্যাথোজেন (ফাইল ছবি)

আক্কাদিয়ান সাম্রাজ্য, মিশরের পুরনো সাম্রাজ্যের পতন একাধিক সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছিল, এর ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, ব্যবসায় তার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন নজরে এসেছিল, ইত্যাদি। কিন্তু সম্প্রতি একটি আর্কেওজেনেটিক গবেষণায় ধরা পড়েছে এই সাম্রাজ্যগুলো পতনের অন্যতম কারণ। এর নেপথ্যে ছোঁয়াচে রোগের হাত ছিল বলেই জানা গিয়েছে। প্লেগের ব্যাকটেরিয়া ইতিহাসে একাধিকবার মহামারী ঘটিয়েছে। সেই ৩ মিলেনিয়াম খ্রিস্টপূর্ব থেকেই ইউরেশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।

এই প্লেগ ব্যাকটেরিয়া, ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে আদিমকাল থেকে পৃথিবী জুড়ে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। ৫৪১ সালের জাস্টিনিয়ান প্লেগের আগে এই রোগের ভয়াবহতা, বিপর্যয় ঘটানোর ক্ষমতাকে বোঝা যায়নি।

এই রোগের ডিএনএ ৩২ জন মানুষের মুখে পাওয়া গিয়েছে যাঁদের মৃত্যু ২২৯০ থেকে ১৯০৯ খ্রিস্টপূর্বের মধ্যে হয়েছিল। একাধিক মানুষের মুখে সাধারণ ব্যাকটেরিয়ার হদিস মিলেছে। তবে অদ্ভুতভাবে সালমোনেল্লা এন্টারিকা জীবাণু যা টাইফয়েড ঘটায় তা মাত্র দুজন ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া গিয়েছে।

এই গবেষণায় যে তথ্যগুলো পাওয়া গিয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে ভূমধ্যসাগরের বুকে থাকা ক্রিট দ্বীপটিতে ব্রোঞ্জ যুগের সময় এই দুই ধরনের রোগের প্রভাব দেখা গিয়েছিল।

যদিও এটা বলা যায় না রোগের কারণেই ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে এই জীবাণুই একের পর এক সাম্রাজ্য, সভ্যতা ধ্বংস করে গিয়েছে। তবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় এই ছোঁয়াচে রোগের ভয়ানক প্রভাব তাদের ধ্বংসের অন্যতম কারণ বটে!