ত্বকের যত্ন নেওয়া এখন আগের তুলনায় বেশ কঠিন। দিনকাল পাল্টেছে, পাল্টেছে রাস্তাঘাটের চেহারা। দিনদিন গাড়ি ও কলকারখানার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। বাইরে বেরোলেই এখন ধুলো বালি আর ধোঁয়া মেখে ঘরে ঢুকতে হয়। এর থেকেই দেখা দিচ্ছে ত্বকের নানারকম রোগ।
ত্বক শরীরের অঙ্গগুলির রক্ষক হিসেবে কাজ করে। একেবারে বাইরের আস্তরণ হওয়ায় যতরাজ্যের ধুলো বালি ও জীবাণুর আক্রমণ ত্বককেই সামলাতে হয়। ত্বকের মধ্যে রয়েছে একাধিক স্তর। যা শরীরের ভিতরের অংশকে বেশি সুরক্ষা দেয়। তবে ত্বকের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। এর ঠিকমতো যত্ন না নিলে বড়সড় চর্মরোগ দেখা দিতেই পারে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ চাঁদনি জৈন গুপ্ত এইচটি ডিজিটালকে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানান। তাঁর কথায়, দূষণের ফলে অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, অ্যাটোপিক একজিমা, সোরিয়াসিস, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিসের মতো গুরুতর রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ত্বকের অ্যালার্জি থেকে ত্বক ক্যান্সারের মতো রোগও এখন দেখা যায়।
ত্বকে এই রোগগুলি হলে জীবাণুর পক্ষে সংক্রমণ ছড়ানো আরও সুবিধাজনক হয়। রোগাক্রান্ত ত্বকের কোষগুলো তুলনায় দুর্বল থাকে। এর ফলে জীবাণু সহজে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সে সংক্রমণ শরীরের ভিতর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ত্বকের যত্ন নেওয়া তাই বিশেষভাবে জরুরি। চাঁদনি এই ব্যাপারে বেশ কিছু টোটকাও জানান।
- বাইরে থেকে ফেরার পর দুই হাত ও মুখ নিয়মিত ধোয়া জরুরি। শরীরের এই অংশগুলোই সবচেয়ে বেশি উন্মুক্ত থাকে। মুখ ধোয়ার সময় অয়েল বেসড ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। কারণ ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলোতেও ধুলোবালি জমে থাকে। এগুলো সহজে বের হয় না।
- সপ্তাহে দুবার এক্সফোলিয়েশন করানো ত্বকের পক্ষে উপকারী। এতে মৃত কোষ ও দূষিত পদার্থ ত্বক থেকে বেরিয়ে যায়।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিয়মিত ডায়েটে রাখা উচিত। ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক থেকে স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ত্বকের কালো দাগও দূর হয়।
- সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে। সূর্যের ইউভি রশ্মির সঙ্গে দূষক পদার্থগুলোর বিক্রিয়া হয়। যা ত্বকের জন্য বেশি ক্ষতিকর।
- ত্বক যথেষ্ট পরিমাণ আর্দ্র থাকলে তবেই ভালো থাকে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। ময়শ্চারাইজার নিয়মিত মাখলে ত্বকের উপরিভাগের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এর ফলে বাইরের দূষণও সহজে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে না।