অনেকেই তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। আর তৈলাক্ত ত্বক মানেই হাজারো সমস্যা! ব্রণ থেকে র্যাশ, ফুসকুড়ি, ব্ল্যাকহেডস সহ ত্বককে নিষ্প্রাণ দেখায়। ফলে যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক হয় তাঁদের ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন আছে তেল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। মুখ সঠিক ভাবে পরিষ্কার করাও দরকার। অনেকেই বাজারি প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করেন। নামী দামী প্রোডাক্ট কেনেন। কেউ কেউ আবার ঘরোয়া উপায়ে ভরসা করেন। আপনি যদি রাসায়নিক প্রোডাক্টের বদলে ঘরোয়া টোটকায় বেশি বিশ্বাস করেন তাহলে বাড়িতেই এখন বানিয়ে নিতে পারবেন ক্লিনজার যার সাহায্যে আপনার তৈলাক্ত ত্বককে নিমেষেই পরিষ্কার করে ফেলতে পারবেন। দেখুন কীভাবে বাড়িতে ক্লিনজার বানাবেন।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা যায়। এটার জন্য আপনাকে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করতে হবে। এবার কিছুক্ষণ ত্বককে সেভাবেই রাখুন। এবার হালকা গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। এভাবে রোজ অলিভ অয়েল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এই তেল ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে, একই সঙ্গে ত্বকের ময়লা দূর করে।
দুধ
দুধ দিয়েও মুখ পরিষ্কার করা সম্ভব। এটার জন্য আপনাকে ৩ চামচ কাঁচা দুধ নিতে হবে। এবার এটার সঙ্গে এক চামচ কমলা লেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবার এটাক মুখে লাগান। তারপর ভালো করে মুখ ম্যাসাজ করে মিনিট ৫ থেকে ১০ রেখে ভালো করে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক যেমন পরিষ্কার হয় তেমনই ফ্রেশ রাখে।
বেসন এবং হলুদ
এটার জন্য আধ কাপ বেসন নিন। সঙ্গে দিন মুগ ডাল গুঁড়ো এবং সামান্য হলুদ গুঁড়ো। এবার ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন এটিকে।
গোলাপ জল
গোলাপ জল কিন্তু ত্বককে ভীষণ ভালো রাখে। তুলোয় করে গোলাপ জল নিয়ে ভালো করে মুছুন। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে এটা মুখে লাগাতে পারেন। এটা যেমন ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, তেমনই পরিষ্কার রাখে।
মধু লেবু প্যাক
এটার জন্য ২ চামচ মধু নিন। সঙ্গে নিন এক চামচ লেবুর রস। এবার এটাকে ভালো কর মেশান। প্রয়োজনে সামান্য জল দিন। এবার মুখে এটিকে মিনিট দুই ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট মতো রাখুন। তারপর জল দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। আপনি চাইলে রোজ এটা দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমাতে সাহায্য করে এই প্যাক।