নিরাপত্তার কারণে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হল দুটি কোভিড ভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্ব। হোঁচট খেল অতিমারীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞানের লড়াই।
মঙ্গলবার হাসপাতালে ভরতি সংক্রমিত রোগীদের উপরে নির্ধারিত কৃত্রিম পদ্ধতিতে তৈরি অ্যান্টিবডি চিকিৎসার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন ফার্মাকিউটিক্যাল সংস্থা এলি লিলি।
এ ছাড়া সোমবার সাময়িক ভাবে তাদের কোভিড ভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল স্থগিত করেছে আর এক মার্কিন সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। জানা গিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে অজানা অসুস্থতা দেখা দেওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চূড়ান্ত পর্যায়ে আচমকা কোনও সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার প্রবণতা অবশ্য নতুন নয়। ওষুধ ও ভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যাচাই করে দেখার উদ্দেশে সাধারণত পরীক্ষায় বেশ কিছু সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী এক স্বেচ্ছাসেবীর মেরুদণ্ডে প্রদাহের জেরে আচমকা পরীক্ষা পর্বে ইতি টানে নির্মাতা সংস্থা অ্যাস্ট্রা জেনেকা। তবে পরে সারাবিশ্বে সেই ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল ফের চালু করা হলেও আমেরিকায় তা এখনও বন্ধ রয়েছে। কারণ সম্পর্কে অবশ্য কিছু ব্যাখ্যা করেনি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
ব্রিটেনের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী এরিক টোপোল টুইট করে এলি লিলি-র কোভিড চিকিৎসা ট্রায়াল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশকরেছেন। তাঁর মতে, ওই ট্রায়ালের আগের কোনও পর্বে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জনিত এমন সমস্যা দেখা দেয়নি বলেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।