ভারতে করোনা সংক্রমণ হার ক্রমশ বাড়ছে।তাই এবার সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেজন্য ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করে দিল শেখ হাসিনা সরকার।২ সপ্তাহের জন্য এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।এর আগে ব্রিটেন সরকার ভারতীয়দের তাঁদের দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এবার প্রতিবেশি বাংলাদেশও সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল।
এদিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান,‘কিছু সময়ের জন্য ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।যেভাবে ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের রাস্তা আগামী ২ সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তবে পণ্যবাহী গাড়ি অবশ্য সীমান্চ দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কাল থেকে আগামী ২ সপ্তাহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।এর আগে গত ১৪ এপ্রিল থেকে দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবাও সাময়িক স্থগিত রাখা হয়।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশে যখন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দৈনিক প্রায় তিন লাখের ওপর, সেখানে বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিবেশি দেশের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯২২ জন।মৃত্যু হয়েছে ১০১ জনের।তুলনামুলক বিচারে যা ভারতের ধারেকাছে নেই।এপার বাংলা থেকে প্রচুর মানুষ ওপারে যাতায়াত করে থাকেন তা বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে অজানা নয়।এই পরিস্থিতিতে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত খোলা রেখে আর নতুন করে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বাংলাদেশ সরকার।