মধ্যপ্রদেশের হারদায় একটি আতশবাজি কারখানায় আগুন লেগে ১১ নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায়, যার ফলে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে নর্মদাপুরম জেলার পার্শ্ববর্তী সেওনি মালওয়া এলাকার বাসিন্দারাও কম্পন অনুভব করেন।
বিস্ফোরণের ফলে আশেপাশের ষাটটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারখানায় ক্রমাগত বিস্ফোরণের কারণে কর্তৃপক্ষ ১০০টিরও বেশি বাড়ি খালি করে দিয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে একাধিক দু "চাকার গাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান। এক্স-এর একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘মন্ত্রী উদয়প্রতাপ সিং এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা হারদার পথে রয়েছেন। ভোপাল ও ইন্দোরের মেডিকেল কলেজগুলিকে পুড়ে যাওয়া রোগীদের জন্য প্রস্তুতি থাকতে বলা হয়েছে, তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে আরও দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হচ্ছে।’
ঘটনার একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কারখানা থেকে লম্বা আগুনের শিখা এবং ধোঁয়া বের হচ্ছে। কারখানার পাশের রাস্তায়, বাতাসে বিস্ফোরণের শব্দ হওয়ায় লোকজনকে ভয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
দমকলের ইঞ্জিনগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে। জেলাশাসক ঋষি গর্গ বলেন, ‘উদ্ধার অভিযান চলছে। আমরা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও ডেকেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে এবং গুরুতর আহত রোগীদের ভোপাল ও ইন্দোরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।’
আগুন লাগার পর পালিয়ে যাওয়া কারখানার এক শ্রমিক বলেন, 'ঘটনার সময় প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক ভিতরে ছিলেন।
পড়ুন। এবার নির্মলার দাবি, মেলেনি AG সার্টিফিকেট, পালটা তোপ দাগলেন চন্দ্রিমা
পড়ুন। এখনই চেক প্রজাতন্ত্র থেকে আমেরিকায় পাঠানো যাবে না পান্নুন হত্যা ছকে অভিযুক্ত নিখিলকে, কেন?