গত মাসেই প্রাগ হাই কোর্ট রায় দেয়, চেক প্রজাতন্ত্র থেকে নিখিল গুপ্তাকে আমেরিকায় পাঠানো যাবে। তবে নিখিল এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সেই দেশের সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই আবহে আপাতত তাঁকে আমেরিকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেক বিচার ব্যবস্থা মন্ত্রকের মুখপাত্র ভ্লাদিমির রেপকা। (আরও পড়ুন: ঘুম ভাঙিয়ে ভুল ভাঙল ইডির,মনরেগা দুর্নীতির তদন্তে 'ভুল ঠিকানায়' অফিসাররা)
আরও পড়ুন: RBI আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করলেন পেটিএম সিইও, সংকটের মেঘ কি কাটবে?
উল্লেখ্য, খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং মানকে হত্যার ছকের মামলায় অভিুক্ত নিখিল। বিগত প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চেক জেলে বন্দি তিনি। এই নিখিলের বিরুদ্ধে আমেরিকায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আমেরিকা নিখিলকে তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চায়। তাঁর বিরুদ্ধে ‘খুনের জন্য বরাত দেওয়ার’ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে আমেরিকার আদালতে। ভারত সরকারের এক এজেন্সির আধিকারিকের নির্দেশেই নাকি নিখিল এই কাজ করেন।
এই আবহে গত ২০২৩ সালের ৩০ জুন চেক প্রজাতন্ত্র থেকে নিখিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অ্যাটর্নি অফিসের তরফে দাবি করা হয়, খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের রফা হয়েছিল। অগ্রিম বাবদ 'আততায়ী'-কে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। তবে সেই 'আততায়ী' আদতে মার্কিন প্রশাসনেরই 'আন্ডার কভার এজেন্ট' ছিল। এরপরই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় মার্কিন প্রশাসন। পরে ওয়াশিংটনের অনুরোধে চেক প্রজাতন্ত্র গ্রেফতার করেছিল নিখিলকে। এই নিয়ে সিআইএ প্রধান বিল বার্নসকে ভারতে এসে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংয়ের প্রধান রবি সিনহার কথা হয়েছিল। আলোচনা হয়েছিল মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এবং ভারতের জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালেরও। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, গত জুন মাসে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন, তখনই নাকি মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে গুরপতবন্তের ওপর হামলার ছকের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত করা হয়েছিল।
আবার সম্প্রতি পান্নুন হত্যার ঘটনার জেরে 'আটকে' গিয়েছিল আমেরিকা থেকে ভারতে প্রিডেটর ড্রোন কেনার চুক্তি। জানা গিয়েছে, মার্কিন সেনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির বাকি সব সদস্যই প্রিডেটর ড্রোন বিক্রি চুক্তির পক্ষে মত প্রকাশ করলেও এতদিন ধরে 'হ্যাঁ' বলতে দেরি করছিলেন কমিটির প্রধান বেন কার্ডিন। তবে সম্প্রতি তিনি এই চুক্তিতে সবুজ সংকেত দেন। তবে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘ দর কষাকষির পর নাকি সেই চুক্তিতে সবুজ সংকেত দেন তিনি। মেরিল্যান্ডের এই সেনেটর জানান, সাম্প্রতিককালে মার্কিন নাগরিক পান্নুনকে মার্কিন মুলুকেই খুন করার ছক কষার ঘটনায় ভারতীয় আধিকারিকদের হাত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার যাতে পূর্ণ সহযোগিতা করে, এই শর্তেই তিনি ড্রোন বিক্রির চুক্তিতে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।