এবার মধ্যপ্রদেশের ভূপালে দুই দলিত যুবককে চরমতম হেনস্থা করার অভিযোগ। গত ৩০ জুন দুই দলিত যুবককে জুতোর মালা পরিয়ে মুখে মল মাখিয়ে তাদের গ্রামে ঘোরানো হয়েছিল। আদিবাসী যুবকের মুখে প্রস্রাব করার ঘটনার পরে এবার নয়া হেনস্থার অভিযোগ।
সূত্রের খবর, সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ওই দলিত যুবকদের নানাভাবে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহ করা হয়েছিল যে তারা শ্লীলতাহানি করেছে ও শিবপুরী জেলায় তারা কয়েকজন কিশোরীর ভিডিয়ো তুলেছে।
কেবলমাত্র সন্দেহের বশেই তাদের উপর চলে অকথ্য অত্যাচার। মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এই ঘটনাকে মানবতার লজ্জা বলে উল্লেখ করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ন্যাশানাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা দরকার বলেও তিনি জানিয়েছেন। গোট ঘটনাকে তালিবানি ঘটনা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, দলিত ও সিডিউলড কাস্টদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের জুতোর মালা পরিয়ে মুখে মল মাখিয়ে তাদের গ্রামে ঘোরানো হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশে এই ঘটনা একেবারেই মানা যায় না।
পুলিশ এই ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তার মধ্য়ে দুজন মহিলা রয়েছে। তাদের মধ্য়ে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ওই দুজনকে মুখে কালি মাখিয়ে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘুরিয়েছিল। তবে যুবকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত করে দেখে, ওই যুবকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারে ভুয়ো। ওই যুবকরা কেবলমাত্র কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার কোনও ভিত্তি নেই।
এদিকে ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। পুলিশ, বনদফতর, জেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। এরপর অভিযুক্তদের বাড়ি গুলিকে চিহ্নিত করে। বনদফতরের তরফে দাবি করা হয়, জঙ্গলের জমিতে ওই অবৈধ নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরই সেই বাড়িগুলিকে ভেঙে দেওয়া হয়। ওই সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ওই বাড়িগুলি তৈরি করেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।