১৪ এপ্রিল বাঙালির নববর্ষের দিনই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেন ৩ মে পর্যন্ত।লকডাউনের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে মোদীর এই ভাষণ টেলিভিশনে দেখল দেশের মোট ২০ কোটি ৩ লক্ষ জনতা। ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্যা। গোটা দেশের প্রায় ১৯৯টি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত মোদীর ভাষণের দর্শক সংখ্যা ছিল ২০৩ মিলিয়ন।
২৫ মার্চ থেকে গোটা দেশে লাগু হওয়া লকডাউনের সময়সীমা এদিন ৩রা মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় কী করা উচিত, তা নিয়ে সাতটি পরামর্শ দেন মোদী-
১. বাড়ির বয়স্ক মানুষদের খেয়াল রাখুন। যারা আগে থেকে অসুস্থ তাদের আরও বেশি খেয়াল রাখতে হবে।
২. লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের পালন করুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। দরকারে বাড়িতে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. নিজের ইম্যুনিটি বাড়ানোর জন্য আয়ুষ মন্ত্রকের দেওয়া পরামর্শ অবশ্যই মেনে চলুন।
৪. আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
৫. গরীব পরিবারদের সাহায্য করুন।
৬. আপনি ব্যবসায়ী হলে কর্মচারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। তাদের চাকরি থেকে বার করবেন না।
৭. স্বাস্থ্যকর্মী সহ দেশের করোনা যোদ্ধাদের সম্মান করুন।
মোদীর লকডাউন ২.০ ঘোষণা পিছনে ফেলল তাঁর প্রথম পর্বের লকডাউন ঘোষণার রেকর্ডকে। প্রথম পর্বে মোদীর লকডাউন ভাষণ দেশজুড়ে দেখেছিল প্রায় ১৯ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। BARC-এর রিপোর্টে বলা হয়েছিল ২০১ টি চ্যানেলে ১৯৭ দর্শক দেখেছেন সেই বক্তৃতা। অন্যদিকে মোদীর 'রাত নটায় ন মিনিট'-এ প্রদীপ জ্বালাও কর্মসূচীর ঘোষণা দর্শক ছিল ১১ কোটি ৯০ লক্ষ ভারতীয়। পাশাপাশি মোদীর জনতা কার্ফু ঘোষণার বক্তব্যটি ১৯২ চ্যালেনের ৮ কোটি ৩০ লক্ষ দর্শক লাইভ দেখেছিল।
মোদীর এই ভাষণগুলো অতীতের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক দর্শক দেখেছেন। নোটবন্দী নিয়ে মোদীর ভাষণ টেলিভিশনে দেখেছিলেন মাত্র ৫ কোটি ৭০ লক্ষ দর্শক। অন্যদিকে গত বছর অগস্টে আর্টিকেল ৩৭০ দিনে মোদীর জাতির উদ্দেশে বক্তব্যের ভিউয়ারশিপ ছিল ৬ কোটি ৫০ লক্ষ।