ওড়িশার ওলামারা থেকে রসগোবিন্দপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী বাস। বালাসোরের ওলামারা থেকে ময়ূরভঞ্জ জেলা পর্যন্ত এলাকার মধ্যে দিয়ে যে সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে, তাতে রয়েছে দীর্ঘ একটি গ্রাম্য রাস্তা। আর গ্রামের রাস্তার ভিতর দিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস অন্যান্য আর চার পাঁচটা দিনের মতোই যাচ্ছিল রবিবার। আর তখনই ঘটে গিয়েছে বিপদ। আচমকা বাসকে তাড়া করতে থাকে একটি দাঁতাল। বিশালাকার প্রাণীটির এমন কাণ্ডে ততক্ষণে হতভম্ব গ্রামবাসী থেকে বাসের ভিতরের যাত্রীরা!
এক ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, গ্রামবাসীরা তখন রাস্তার ধারের দুই দিকে দাঁড়িয়ে। অবাক দৃষ্টিতে তখন সকলেই দেখছেন ভয়ঙ্কর দৃশ্যটি। দেখা যাচ্ছে, বাসটির দিকে শুঁড় উঁচিয়ে তেড়ে যাচ্ছে হাতিটি। রবিবারের এই তাণ্ডবের ঘটনায় ততক্ষণে চিৎকার চেঁচাচিমি শুরু হয়ে যায় এলাকায়। বাসের ভিতরে ততক্ষণে ত্রাহি ত্রাহি রব। কেউই বুঝতে পারছেন না, কোনদিকে যেতে বসেছে ঘটনার গতিপ্রকৃতি। ততক্ষণে বাস চালককে আরও জোরে বাসটি চালিয়ে নিয়ে যেতে বলেন যাত্রীরা। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। শুঁড়ে করে বাসে হালকা দোলা দিয়ে বাসের রিয়ার উইন্ডোতে ততক্ষণে যা ক্ষয়ক্ষতি করার তা করে দিয়েছে হাতিটি। যদিও বাসের যাত্রীরা সকলেই অক্ষত বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, ওড়িশায় আরও একটি হাতিকে ঘিরে চলে চাঞ্চল্য। এই ঘটনা ছোট্ট এক হাতিকে নিয়ে। রাসগোবিন্দপুর ফরেস্ট ডিভিশনে সুরেইদিহি গ্রামে একটি হাতির শাবক পড়ে গিয়েছিল পরিত্যক্ত এক কুয়োয়। জল কাদা মেখে হাতিটি কিছুতেই পিচ্ছিল মাটি পেরিয়ে উপরে উঠে আসতে পারছিল না। ময়দানে নামে ওড়িশা বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। এক মাসের ছোট্ট হাতির শাবকটিতে তুলে আনা মোটেও সহজ ছিল না। বহু চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিকে, শাবককে না তুলে নিয়ে গিয়ে হাতির দল এলাকাও ছাড়ছিল না। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে দেখে , হাতিরা ওই বড় গর্তে লাঠি ফেলতে থাকে। অন্যদিকে, ওই গর্তের কাছাকাছিও কাউকে যেতে দিচ্ছিল না হাতিরা। ফলে পরিস্থিতি বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। বরিপদার বন দফতরের অফিসার সন্তোষ যোশি বলছেন,এরপরেও 'আমাদের কর্মীরা হাতির চোখের থেকে চোখ সরাননি। ' এরপর সুযোগ আসে ছোট্ট শাবককে উদ্ধারের। তিনি বলছেন, ' হাতির দল যখন পাশের জলা জায়গায় জল খেতে চলে যায়, তখন আমরা সুযোগ পেয়েছি।আমরা তখনই পিটের মধ্যে জল পাম্প করতে শুরু করে দিই। যাতে ভেসে ওঠে ওই হাতির শাবক।' এরপর শেষমেশ উঠে পড়ে ছোট্ট হাতিটি। আর বাকি দলের সঙ্গে সেও নিশ্চিন্তে ফিরে যায় তাদের ডেরায়।