মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় তিন বছর বয়সি বাচ্চার চোখে ফুটো করে ঢুকে গিয়েছিল জ্যান্ত পোকা। এমনকী চোখের ওপরের স্তরে ফুটো করে পোকাটি ঢুকে যায়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা চোখের ভেতরেই বেঁচে ছিল পোকাটি। এরপর বহু কষ্টে সেটিকে বের করেন চিকিৎসকরা। লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে বিষয়টি জানা গিয়েছে।
চিকিৎসক গিরীশ চতুর্বেদী জানিয়েছেন, এই প্রথম দেখলাম কোনও পোকা চোখের ভেতর গিয়ে এতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। ওই চিকিৎসকই চোখের ভেতর থেকে পোকাটি বের করেছেন।
কিন্তু কীভাবে বোঝা গেল যে শিশুর চোখের মধ্য়ে পোকা ঢুকে গিয়েছে?
তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সকালবেলা দেখা যায় বাচ্চাটির চোখে জ্বালা করছে। সেটা ফুলে গিয়েছে। পরে জ্বালা বাড়তে থাকে। এরপর দেখা যায় বাচ্চাটির চোখের মধ্যে একটি পোকা রয়েছে। বাচ্চাটিকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জেলা হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ গিরীশ চতুর্বেদী সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, পরীক্ষা করে দেখা যায় পোকাটি চোখের উপরের অংশ ফুটো করে ভেতরে ঢুকে গিয়েছে। বার বার সেটি সেই ফুটো দিয়ে বেরিয়েছে। আবার ঢুকেছে। এর জেরে শিশুটির যন্ত্রণাও ক্রমশ বেড়েছে।
চিকিৎসকের দাবি, অন্তত ২০,০০০ চোখের অপারেশন করেছি। কিন্তু এই প্রথম দেখলাম চোখের মধ্যে পোকা ঢুকে গেল। তবে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পোকাটি বেঁচে ছিল।
কীভাবে এটাকে বের করলেন চিকিৎসকরা?
প্রথমে চোখে স্যালাইন জল ও ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এরপর প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় কতক্ষণে সেটা আবার ফুটো দিয়ে বের হবে। এরপর সেটি বাইরে বের হতেই সেটাকে টেনে চোখ থেকে বের করা হয়।
তবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসকরা ওই শিশুটির চোখকে রক্ষা করেছেন। তবে ওই শিশুটির চোখে অত্যন্ত যন্ত্রণা হচ্ছিল। চিকিৎসকরা দীর্ঘক্ষণ ধরে ওই শিশুটির চোখের মধ্যে থাকা পোকাটির উপর লক্ষ্য রাখছিলেন। ওপর থেকেও দেখা যায় চোখের ভেতর ছোট্ট পোকাটি নড়ছে চড়ছে। এর জেরে যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল শিশুটি। শেষ পর্যন্ত শিশুটি ভয়াবহ যন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা পায়। তবে অল্পের জন্য শিশুটি রক্ষা পেয়েছে। পোকাটি বের করে নেওয়ার পরে শিশুটির যন্ত্রণা কিছুটা কমেছে।