গত কয়েকদিন ধরে দিল্লির রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা বদলের সম্ভাবনার খবর। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল যে অধীর চৌধুরীকে সরতে হতে পারে এই পদ থেকে তবে এদিন কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয় যে বাদল অধিবেশনে অধীরই কংগ্রেসের দলনেতা থাকছেন লোকসভায়।
এদিকে আরও একটি বিষয়ে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়। গতকাল রাহুল গান্ধীর বাসভবনে যান প্রশান্ত কিশোর। এরপরই এই বৈঠকের সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। উল্লেখ্য, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং প্রশান্ত কিশোরকে নিজের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করেছেন। তাই জল্পনা তৈরি হয় যে রাহুলের সঙ্গে পঞ্জাব নিয়েই আলোচনা হয়েছে কি না প্রশান্ত কিশোরের। পঞ্জাবে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস বর্তমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা প্রকাশ্যে অমরিন্দরের বিরোধিতা করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে নভজ্যোত সিং সিধু। নির্বাচনের এক বছর আগে এই পরিস্থিতিতে বেজায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস।
তে এদিন কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে পঞ্জাবের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি রাহুল গান্ধী এবং প্রশান্ত কিশোরের মধ্যে। এদিকে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠকে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা, রেসি বেণুগোপাল ছাড়াও সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে এদিন আরও জানানো হয় যে বৈঠেকে শরদ পাওয়ারকে ইউপিএ সভাপতি করার বিষয়েও কোনও আলোচনা হয়নি।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এবার বড় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। ভোটকুশলী হিসাবে প্রশান্ত কিশোরের এটা অন্যতম বড় সাফল্য। এবার লক্ষ্য ২০২৪-র নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে এবার ঝাঁপিয়েছে প্রশান্ত কিশোর। বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রশান্ত কিশোর। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পিকে নিজে তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা উড়িয়ে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী কোনও জোটের অর্থ হয় না। এই আবহে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যেও এই সাক্ষাৎ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছিলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।