সম্প্রতি আদানি ইস্যুতে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের থেকে ভিন্ন অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। এবার ইভিএম ইস্যুতে বিজেপির সুরে সুর মেলাতে শোনা গেল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারকে। অজিত পাওয়ার বললেন, 'ভরসা আছে। যদি ইভিএম-এ ত্রুটি থাকত, তাহলে ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, পঞ্জাব, কেরল, তামিলনাড়ুর মতো ৯ রাজ্যে বিরোধীদের সরকার থাকত না। আমাদের দেশে ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব নয়, কারণ সব মিলিয়ে এটা একটা খুব বড় প্রক্রিয়া। অনেক পরীক্ষা হয় এই ক্ষেত্রে। ভারসাম্য বজায় রেখেই এই প্রক্রিয়া চালানো হয়।' (আরও পড়ুন: সিম কার্ডের KYC ভেরিফিকেশন নিয়ম বদলে যাবে পুরোপুরি, বিশদ জানুন এখনই)
অজিত পাওয়ার আরও বলেন, 'যদি কোনওভাবে এটা প্রমাণিত হয় যে ইভিএমে কারচুপি করা যায়, তাহলে দেশজুড়ে একটা বড় গণ্ডগোলের সৃষ্টি হবে। আমি মনে করি না যে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটানোর সাহস বা স্পর্ধা কারও আছে। অনেক সময়ই প্রার্থীরা নির্বাচনে হেরে গিয়ে মনে করেন যে তাঁদের পরাজয় অসম্ভব। তখনই তাঁরা ইভিএমের নামে অভিযোগ করতে শুরু করেন। কিন্তু, বাস্তবে ইভিএমে মানুষের প্রকৃত রায়দানের ফলাফল প্রতিফলিত হয়।'
আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে, পাহাড়ি রাস্তায় ২১২ কিমি পথ যাওয়া যাবে ২ ঘণ্টায়
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিরোধীরা বৈঠক করে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেই বৈঠকটি হয়েছিল এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারেই বাড়িতে। সেই বৈঠক শেষে বিরোধী নেতারা দাবি করেন, তারা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন ইভিএম ইস্যুতে। সেই বৈঠক শেষে বিরোধীদের দাবি ছিল, ইভিএমে কারসাজি সম্ভব। বৈঠকে এনসিপি, কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিআইএম, আম আদমি পার্টি, জেডিইউ, উদ্ধবপন্থী সেনা সহ বহু দল উপস্থিত ছিল। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে ইভিএম কারচুপি নিয়ে বারবার সরব হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তবে কমিশন আগেই জানিয়েছিল, ইভিএম নিয়ে কোনও অভিযোগের সারবত্তা নেই। এগুলি একেবারে নিরাপদ। কোথাও কোনও কারসাজি করা সম্ভব নয়। তবে তাও বারবার ব্যালট প্রথা ফিরিয়ে আনার পক্ষেই সওয়াল করেছেন বিরোধীরা। তবে এই আবহে অজিত পাওয়ারের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।