কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদক্ষেপ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল এমপি সৌগত রায়। এরপরই পালটা সৌগত রায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। বিষয়টি ঠিক কী হয়েছে?
আসলে তৃণমূল এমপি সৌগত রায় দাবি করেছিলেন, বিজেপি ৩৭০ ধারা রদ করেছে সেটা কাশ্মিরীদের লাভের জন্য নয়, এটা ছিল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য। জনসংঘের নেতা শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের লক্ষ্য এক নিশান এক প্রধান ও এক সংবিধান এই তত্ত্বকে বাস্তবায়িত করার জন্য় এই উদ্যোগ। তবে সৌগত রায়ের এই বক্তব্যের পরেই পালটা দিলেন অমিত শাহ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
এরপর অমিত শাহ পালটা বলেন, মনে হচ্ছে আপনার বয়স হয়েছে দাদা। কীভাবে একই দেশে দুজন করে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন? কোনও দেশের কীভাবে দুটি সংবিধান থাকতে পারে? কীভাবে একই দেশের দুটি সংবিধান থাকে?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, একটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে পাথর ছোঁড়া হত, মানুষ খুন করা হত। ৩৭০ ধারা বিলোপের আগে এটা হত। এখন আর সেটা হয় না। আর কংগ্রেস সরকারের আমলে বিরোধী এমপিদের জেলে ভরা হত আর কাশ্মীরে ভারতের পতাকা তোলা হত না। আর আজ শুধু লাল চকে ভারতের পতাকা তোলা হয় এমনটা নয়। কাশ্মীরের প্রতিটি রাস্তায় জাতীয় পতাকা তোলা হয়। তাঁর কথায়, আপনারা বাংলাকে শেষ করে দিয়েছেন। আর মোদী কাশ্মীরের উন্নতি করেছেন।
এদিকে সংসদে সৌগত রায় কাশ্মীরের ইতিহাস তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, ৪১,৮০৪টি পরিবারকে সরে যেতে হয়েছিল। তিনটি যুদ্ধের সময় এটা হয়েছিল। এমনকী কাশ্মিরী পন্ডিতরাও আজও ঘরে ফিরতে পারেননি। তিনি অমিত শাহকে বলেন, কাশ্মীরে আপনারা কিছু করেনি। শুধু ভোট করেছেন। সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমতা না দিয়ে কোনও রাজ্য চলতে পারে না। কাশ্মীরের ভোটের জন্য সময় ঠিক করে দেওয়ার দাবি তিনি তুলেছেন।
এদিকে সৌগত রায় জানিয়েছেন কাশ্মীরের গভর্নরের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। এরপরই এনিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান অন্যান্য বিজেপি সাংসদরা। সৌগত রায় স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, কাশ্মীর পর্যটকদের জন্য় খুব ভালো। ডাল লেক, শিকারা দেখতে যান। কিন্তু সেখানকার কাশ্মিরীদের জন্য এটা ভালো জায়গা নয়।