সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার বিপদে বা সমস্যায় পড়লেই দেশের মানুষের উপর দায় চাপিয়ে দেন। আর সমস্যা থেকে বেরিয়ে গেলে কৃতিত্ব নিতে থাকেন। এবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাতে গিয়ে জানান, ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউকে খুব অল্প সময়েই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। সাহস ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে ভারত। এখন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা একেবারে ‘নিয়ন্ত্রণ’ এবং তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে।
গুজরাতে ৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে শাহ বলেন, ‘যখন দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে তখন একাধিক রূপ বদল করে ভাইরাসটি। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কিন্তু খুব অল্প সময়েই ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং এটি হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা আমাদের পক্ষে একটি সম্মিলিত সাফল্য। নরেন্দ্র মোদীর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই সাফল্যের সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে সক্ষম হয়েছে দেশ।’
তবে এখানে তিনি থেমে থাকেননি। মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ শাহ বলেন, ‘ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে কাজটা খুব কঠিন ছিল। অন্য দেশগুলির সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে কোনও খবর হয় না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে যে উন্নত দেশগুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পরিকাঠামোও ভেঙে দিয়েছে করোনাভাইরাস। আমি এটা বলতে পেরে আনন্দিত যে এমন সময়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে দেশটি বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে কোভিডে।’ যদিও দেশে সংক্রমণ আগের চেয়ে কমলেও, এখনও দিনে দেড় লক্ষের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যে কোনও মুহূর্তে সংক্রমণের সূচক ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই এখনও লকডাউন জারি রেখেছে অধিকাংশ রাজ্য। চলছে বিধি নিষেধের কড়াকড়িও। এই পরিস্থিতি অমিত শাহের এই দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।