গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানিকে শুক্রবারই জামিনে মুক্তি দিয়েছে অসমের বারপেতা জেলা আদালত। এর আগে জিগনেশ মেভানির বিরুদ্ধে ওক মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হয় ও গ্রেফতার করা হয় গুজরাতের এই তরুণ তুর্কী দলিত নেতাকে। এরপর অসমের বারপেতা দেলা আদালত পুলিশকে ওই এফআইআর নিয়ে কার্যত ভর্ৎসনা করে। এফআইআরকে ‘ভ্রান্ত’ বলে আখ্যা দিয়ে, গুয়াহাটি আদালতের কাছে জেলা আদালত অনুরোধ জানায়, যাতে রাজ্যটি পুলিশের রাজ্য না হয়ে যায়, সেই বিষয়টিতে নজর রাখতে।
আদাতের বিচারক অপরেশ চক্রবর্তী বলেন, মেভানির বিরুদ্ধে যে দ্বিতীয় এফআইআরটি রয়েছে তা একেবারেই ভুয়ো। উল্লেখ্য, সেই এফআইআর-এর অভিযোগে বলা হয়েছে, পুলিশের গাড়ির ভিতর এক মহিলা সাবইনসপেক্টরের শ্লীলতাহানি করেন মেভানি। যে অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছে আদালত। আদালত বলছে, ‘কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ দুই পুরুষ পুলিশ অফিসারের উপস্থিতিতে একজন মহিলা পুলিশ অফিসারের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করতে পারেন না। আর মেভানি কোনও অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ নন।’ গোটা অভিযোগকে ‘তৈরি করা ঘটনা’ বলেও আখ্যা দিয়েছে আদালত। ঘটনায় আইনি ব্যবস্থার অপমান করা হয় বলেও ভর্ৎসনা করে আদালত। আরও পড়ুন-মৃত্যুর ৪৩ বছর বাদে ভারতে ফিরল নাগা স্বাধীনতা সংগ্রামীর দেহ, উঠে এল কোন ছবি?
এদিকে আদালতের রায়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জিগনেশ মেভানি বলেন, অসমের পুলিশ তাঁকে টার্গেট করছে কোনও রাজনৈতিক উপরওয়ালার কথা শুনে। একধাপ এগিয়ে মেভানি কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে। তিনি বলেন, ‘আমার গ্রেফতারি গুজরাতের দলিতরা ভালভাবে নেননি। মানুষ সবই দেখছেন আর ওঁদের (বিজেপি)কে এর মূল্য চোকাতে হবে। আর কয়েক মাসের মধ্যেই রয়েছে গুজরাত নির্বাচন। ’