নোবেল শান্তি পুরষ্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসকে ৬ মাসের জেল হেফাজতের সাজা শোনাল বাংলাদেশ আদালত। আজ, সোমবার এই রায় দিয়েছে বাংলাদেশ আদালত। শ্রম আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে নোবেলজয়ী অধ্যাপককে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ সকাল থেকেই চর্চায় উঠে এসেছিল, মহম্মদ ইউনুস খালাস পাবেন, নাকি সাজা হবে? কী আছে তাঁর ভাগ্যে? তবে আজ বছরের প্রথম দিনের দুপুরে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় জেল হেফাজতের রায় ঘোষণা করল ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। যদিও তাঁর অনুগামীরা বলছেন, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে এই নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস একটি মাইক্রো ফিন্যান্স ব্যাঙ্ক চালাতেন। তার মাধ্যমে বহু মানুষকে দারিদ্রতা থেকে বের করে এনেছিলেন বলে সম্মানিত হন। যদিও এই নোবেলজয়ীকে ‘গরিবদের রক্তচোষা’ ব্যক্তি বলে অভিযুক্ত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাধিকবার মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে নানা আক্রমণ করে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। যদিও ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান মহম্মদ ইউনুস। এই আবহে পদ্মাপারে আগামী সপ্তাহে শুরু হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন। যা বয়কট করেছেন বিরোধীরা।
অন্যদিকে অর্থনীতিবিদ ইউনুস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তাঁর তিন সহকর্মী মিল বেশ কয়েকটি সংস্থা গড়ে তোলেন। তার মধ্যে একটি সংস্থা শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী শ্রমিকদের কল্যাণে তহবিল গড়ে তুলতে সংস্থাটি ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। যদিও তাঁরা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিন ঢাকার শ্রম আদালতে মুখ্য আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সওয়াল করেন, ‘আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস এবং তাঁর সহযোগীরা শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের কথা শুনলে দলেরই মঙ্গল হবে’, বক্সির বক্তব্য খারিজ করলেন কুণাল
তাছাড়া তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া উচিত বলেও সওয়াল করা হয় আদালতে। এটাই আদালতের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি বলে মনে করছেন মুখ্য আইনজীবী। তবে ইউনুসের বিরুদ্ধে ১০০ রকম মামলা করা হয়েছিল। যার মুখোমুখি আগে হয়েছিলেন নোবেল শান্তি পুরষ্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতির অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস। যদিও আগে ইউনুস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য তাঁরা কিছু করেননি।’ আর মহম্মদ ইউনুসের আইনজীবী খাজা তানভিড় বলেছেন, ‘এই মামলার কোনও মানে নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসৎ উদ্দেশে করা হয়েছে। বিশ্বের দরবারে তাঁর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতেই এই কাজ করা হয়েছে।’