হীরামান্ডি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে চর্চায় বনশালি। এমনিতেই বলিপাড়ার এ লিস্টার পরিচালকদের মধ্যে নাম আসে তাঁর। কানাঘুষো শোনা যায়, খুব নাকি দেমাক তাঁর। তাঁর সিনেমা বা সিরিজে কাজ করা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একেবারে তটস্থ থাকেন। এবার সরাসরি সঞ্জয়কে নিয়ে কথা বললেন শেখার সুমন। যার হীরামান্ডির অভিনয় ইতিমধ্যেই কুড়িয়েছে প্রশংসা। অভিনেতা প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছেন। সম্প্রতি জুম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখর সাফাই গান সঞ্জয় লীলা বনশালির উপর থাকা অভিনেতাদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রাখার অভিযোগের বিরুদ্ধে।
বনশালির প্রশংসায় শেখর সুমন:
শেখরকে হীরামান্ডি পরিচালকের কাজের সূক্ষ্ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যার ফলে শ্যুটিং শেষ করতে অনেক দেরি হয়। তাতে শেখর সুমন জবাব দেন, ‘এটা অনেকটা শত্রুর আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করা সৈনিকের মতো। সে কখনও বলে না, 'আমি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছি এবার বাড়ি যেতে চাই'। এটা কি হয়? তাকে থাকতে হয়। যখনই শত্রু আসে, তখনই সে গুলি চালাতে শুরু করে। তুষারপাত হোক বা গরম হোক তাতে কিছু যায় আসে না। একজন অভিনেতাকে একজন সৈনিকের মতো প্রস্তুতি নিতে হয়।’
শেখর সুমন হীরামান্ডি ওয়েব সিরিজে নবাব জুলফিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একটি দৃশ্যে দেখা যায় যেখানে জুলফিকার এবং মল্লিকাজান (যে চরিত্রে মনীষা কৈরালা অভিনয় করেছেন)-এর মধ্যে রয়েছে একটি ওরাল সেক্সের দৃশ্য। দেখা গিয়েছিল, মদ্যপ অবস্থায় মল্লিকাজানের সঙ্গে ঘোড়ায় চড়ছেন নবাব। এরই মাঝে, যৌনখিদে জেগে ওঠে তাঁর, মল্লিকাজানের সঙ্গে লিপ্ত হন যৌনতায়। প্রথমে ওই দৃশ্যটা ছিল না চিত্রনাট্যে। পরে তা যোগ করেন বনশালি। শেখর সুমনের সঙ্গে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করে নেন।
সেই দৃশ্যটি এক সেটেই পারফেক্ট দেন শেখর সুমন। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল সেটের সকলে। কারণ যতক্ষণ না দৃশ্যটি পছন্দ হত, সঞ্জয় লীলা বনশালির, তিনি বারবার টেক নিতেন।
এভাবে বারবার টেক নেওয়ার যে অভ্যেস সঞ্জয়ের তা নিয়েও কথা বলেন শেখর সুমন। বলেন, ‘এমনকি যদি মিঃ বনশালি আপনাকে বলেন যে, আপনাকে এটা দুই দিন, তিন দিন ধরে চালিয়ে যেতে হবে, তাহলে অভিনেতা হিসেবে আপনাকে তা করতেই হবে। আপনি আপনার মনযোগ হারানোর বিষয়ে অভিযোগ করতে পারেন না কখনো। আর অভিযোগ করতেই হলে বেরিয়ে যাও, অভিনেতা হয়ে তোমার অভিযোগ করার কোনও জায়গা নেই। এ কারণেই তার প্রতি আমার এত শ্রদ্ধা। তিনি তাঁর কাস্টদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে নিতে চান। সময় এবং অর্থ জড়িত আছে, অন্যান্য অভিনেতারা আপনার বোঝার অভাবের কারণে অপেক্ষা করছে ... আপনার অমনযোগ পরিচালকের প্রতি অবিচার হয়ে যায়।’
হীরামন্ডি সম্পর্কে:
হীরামন্ডি ১৯১০-১৯৪০-এর দশকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত। সিরিজটিতে লাহোরের হীরা মান্ডির রেড-লাইট এরিয়ারর গণিকাদের জীবন তুলে ধরা হয়েছে। শোতে শেখর সুমন নবাব জুলফিকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এবং তাঁর ছেলে অধ্যয়ন নবাব জোরাভার আলি খানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পিরিয়ড ড্রামা সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, রিচা চাড্ডা, সানজিদা শেখ, শারমিন সেগাল, ফারদিন খান প্রমুখ। হীরামন্ডি নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিংয়ের জন্য উপলব্ধ।