কয়েকদিন আগেই বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় অবস্থিত জনপ্রিয় একটি ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল বেলার দিকে। সেই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন জখম হয়েছিলেন। এবার সেই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত থাকা সন্দেহে এক অভিযুক্তকে আটক করল এনআইএ। এর আগেও এই মামলায় একজনকে আটক করে জেরা করা হয়েছিল। এরই মাঝে এবার শব্বির নামে এক যুবককে কর্ণাটকের বেল্লারি জেলা থেকে আটক করে এনআইএ। এই শব্বিরই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। এদিকে কয়েকদিন আগেই এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে থাকা অপরাধীর ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের এক ঘণ্টা আগে ক্যাফের সিসিটিভি ফুটেজে সেই মুখ ধরা পড়ে। জানা গিয়েছে, সেই সন্দেহভাজন একটি আসনে ব্যাগ রেখে বেরিয়ে গিয়েছিল। সেই ব্যাগেই বোমা রাখা ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। এই আবহে তদন্তে নেমে পুলিশ এই সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। তবে এনআইএ-র জালে ধরা পড়া শব্বির এই সন্দেহভাজন কি না, সেই নিয়ে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনও সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি। (আরও পড়ুন: পড়শি রাজ্য বাড়িয়েছে ১৬% পর্যন্ত, তা দেখে এই রাজ্যও ভোটের আগেই বাড়াল ডিএ)
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে চরমে জল্পনা, শুক্রে SC শুনানি
এর আগে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তখন তদন্তকারীরা এই যুবকের সন্দেহভাজন গতিবিধি লক্ষ্য করে। টুপি পরিহিত সেই যুবককে ব্যাগ হাতে ক্যাফেতে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে ক্যাফের মধ্যেই নিজের কাঁধের ব্যাগটি রেখে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় সেই যুবককে। সেই সন্দেহভাজনের সঙ্গে আরও একজনের কথাবার্তা হয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। সেই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদিকে যে মূল অভিযুক্তকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ চিহ্নিত করেছে, তার মুখ ঢাকা ছিল। টুপি, মাস্ক, চোখে চশমার জেরে মুখ ঠিক ভাবে দেখা যায়নি ভিডিয়োতে। তাঁকে এক প্লেট ইডলি হাতে ক্যাফেতে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। পরে শহরের আরও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিভিন্ন জায়গায় সেই যুবককে চিহ্নিত করা হয়। (আরও পড়ুন: ভারতের নৌঘাঁটির ২৭৫ কিমি দূরে বসে তুর্কি ড্রোন, এবার কি চরবৃত্তি করবে মলদ্বীপ?)
আরও পড়ুন: ভারতের ৬০ লাখ শিশু 'অভুক্ত'? 'জিরো ফুড চিল্ডরেন' রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: ব্রিগেডে চমক ভরা তালিকার পর চুপিসারে আরও এক প্রার্থীর নাম ঘোষণা তৃণমূল কংগ্রেসের
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট ও ১টার মাঝে কোনও এক সময়ে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল। প্রাথমিক ভাবে সিলিন্ডার ফেটে এই বিপত্তি ঘটেছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তবে তদন্তের পর দেখা যায়, এটা পূর্বপরিকল্পিত আইইডি বিস্ফোরণ। সেই বিষয়টি পরবর্তীতে নিশ্চিত করেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজে। এই আবহে ইউএপিএ এবং বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। জোর কদমে তদন্ত শুরু হয়। পরে ৩ মার্চ এই মামলাটি এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিস্ফোরণে জখম ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ ও এনআইএ। মূল অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।