বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার ভোরে বিধানসভা নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোট গণনার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে জেলাশাসক আরশাদ আজিজকে নির্দেশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
গণনার সময় গণনাকেন্দ্রে গোপালগঞ্জের সাংসদ অলোক কুমার সুমন ঢুকে পড়েছিলেন বলে গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছে সিপিআই-এমএল। গত ১০ নভেম্বর এই মর্মে মুখ্য নির্বাচন দফতরের সিইও-কে (বিহার) দলের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, ‘প্রার্থী নির্দেশাবলীর ১৬.৯ ধারা লঙ্ঘন করে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন জেডি(ইউ) সাংসদ অলোক কুমার সুমন। এই অনুপ্রবেশের কারণে এই কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।’
এই অভিযোগ সাংসদ সুমন অস্বীকার করলেও, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে নির্বাচন কমিশন এবং সেই কারণেই গণনাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে জেলাশাসককে নির্দেশ পাঠানো হয়।
জেলাশাসক আরশাদ আজিজ বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে ফুটেজ পাঠাবেন।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ ও জিএ-র মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে খুব কম ব্যবধানে ক্ষমতার কুর্সি ধরে রাখতে সফল হয়েছে নীতীশ কুমার সরকার। গণনার দিন থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে আসছে আরজেডি, কংগ্রেস ও সিপিআই-এমএল।
আরজেডি নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদবের দাবি, ‘জনাদেশ মহাগঠবন্ধনের সহায়ক হলেও নির্বাচন কমিশনের ফলে এনডিএ-কে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৫ সালে মহাগঠবন্ধন গঠন করার সময়ও আমাদের পক্ষেই ভোট পড়েছিল। কিন্তু খিড়কি দরজা দিয়ে ঢুকে ক্ষমতা হস্তগত করে বিজেপি।’
তেজস্বীর ইভিযোগ, গণনার নিয়ম অনুযায়ী বৈদ্যুতিন ইভিএম-এর আগে পোস্টাল ব্যালট গোনার বিষয়টি মানা হয়নি। তা ছাড়া সব পোস্টাল ব্যালট গোনা হয়নি বলেও তিনি দাবি করেছেন।
ভোরে বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার জয়লাভ করেছেন জেডি(ইউ) প্রার্থী সুনীল কুমার। তাঁর কাছে মাত্র ৪৬২ ভোটে পরাজিত হয়েছেন সিপিআই-এমএল প্রার্থী জিতেন্দ্র পাসওয়ান।