শ্রীনিবাস রাও, আপ্পারাসু, হায়দরাবাদ
রবিবার সকালে আমেরিকার হার্টফোর্ড শহরের একটি আপ্য়ার্টমেন্ট থেকে দুই তেলেগু পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন তেলেঙ্গানা থেকে আমেরিকাতে গিয়েছিলেন। অপরজন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। সোমবার মৃতের পরিবারের এক সদস্য় একথা জানিয়েছেন। মৃতদের মধ্য়ে একজনের নাম গাট্টু দীনেশ( ২২)। তিনি তেলেঙ্গানার ওয়ানাপার্থি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। আর অপরজনের নাম নীকেশ( ২১) বছর। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের বাসিন্দা তিনি। ইউনিভার্সিটি অফ স্যাকরেড হার্টে মাস্টার্স ইন কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারা আমেরিকায় গিয়েছিলেন। আর তাদেরই দেহ মিলল রবিবার।
দীনেশের মামা স্থানীয় রিপোর্টারদের জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের কাছে আমেরিকা থেকে পুলিশ ফোন করে জানিয়েছিল দুজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে ঘরের মধ্য়ে। দীনেশের মামা সাইনাথ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শনিবার রাতে তারা দুজনেই ডিনার শেষ করে অ্য়াপার্টমেন্টে ফিরে এসেছিলেন। এরপর তারা শুতে যান। পরের দিন তাদের বন্ধুরা ওই বাড়িতে এসে তাদের ডাকাডাকি করতে শুরু করেন। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভাঙে। এরপর তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর দেহ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে।
কিন্তু কীভাবে তাদের মৃত্যু হল? আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে কার্বন মনোক্সাইডে দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তারা দরজা, জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়েছিলেন। ঘরে হিটার জ্বলছিল। প্রচন্ড ঠান্ডার জেরেই তারা ঘরে হিটার জ্বেলে ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভবত ভেতরে কার্বন মনোক্সাইড ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। তার জেরেই তাদের দমবন্ধ হয়ে যায়।
সাইনাথ জানিয়েছেন, দেহগুলি ময়নাতদন্ত না করা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না। ওয়ানাপার্থির বিধায়ক তুরি মেঘা রেড্ডি জানিয়েছেন, ওদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে দিল্লিতেও সম্প্রতি বন্ধ ঘরে দমবন্ধ হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তারাও ঘরের মধ্য়ে কাঠকয়লা জ্বালিয়ে রেখেছিলেন।