বিহার স্কুল এক্সাম বোর্ডের পরীক্ষায় সবক্ষেত্রেই এগিয়ে গেলেন ছাত্রীরা। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা বিভাগের তিনটি শাখাতেই এগিয়ে গিয়েছেন ছাত্রীরা। মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এই ফলাফল প্রকাশ করেছেন। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ৩০জন পডুয়ার মধ্যে প্রথম ৬টি স্থানেই রয়েছে ২১জনই ছাত্রী।
এবছর সব মিলিয়ে পাসের হার হল ৮৩.৭০ শতাংশ। গত বারের তুলনায় পাসের হার ৩.৫৫ শতাংশ বেশি। এই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বোর্ড পরীক্ষায় পড়ুয়ারা ভালো ফলাফল করেছেন। টপার লিস্টে ছাত্রীরা রয়েছেন। গতবারের তুলনায় পাসের শতাংশ বেড়েছে। এই পাসের হার বৃদ্ধির ব্য়াপারটি একটা ইতিবাচক দিক। আমি বিএসইবিতে এই যে পড়ুয়ারদের সাফল্য তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই পরীক্ষায় যে শিক্ষকরা জড়িত ছিলেন তাদেরকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরীক্ষার ৩৯ দিনের মধ্যে ফলাফল বের হয়েছে।
এবার ১৩,০৪,৫৮৬ লাখ পডুয়া এই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত এই পরীক্ষা হয়েছিল। এবারের পরীক্ষায় ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫.৫০ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার ৮২.০১ শতাংশ।
কমার্স শাখায় সবথেকে বড় সাফল্য পেয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। কমার্সে পাশের হার ৯৩.৯৫ শতাংশ। বিজ্ঞান শাখায় পাসের হার ৮৩.৯৩ শতাংশ। কলাবিভাগে পাসের হার ৮২.৭৪ শতাংশ।
সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫.১৩ লাখ পড়ুয়া প্রথম বিভাগে পাস করেছে। ৪.৮৭ লাখ পড়ুয়া দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছেন। তৃতীয় বিভাগে পাস করেছেন ৯১,৫০৩জন পড়ুয়া।
শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য় সচিব দীপক কুমার সিং জানিয়েছেন, কন্যা উত্থান যোজনার যে ছাত্রীরা যোগ্য তারা ৩ এপ্রিল থেকে অনলাইন পোর্টালের মাধ্য়মে আবেদন করতে পারবেন।
বিহার সরকার অবিবাহিত ছাত্রীরা ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় পাস করলে ২৫০০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেয়। মুখ্য়মন্ত্রী কন্যা উত্থান যোজনার আওতায় এই আর্থিক সহায়তা করা হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান আনন্দ কিশোর জানিয়েছেন, দেশের অন্য যে কোনও বোর্ডের তুলনায় অনেক আগে ফলাফল বের করে দিল বিহার বোর্ড। পরীক্ষা ব্যবস্থাকে নির্ভুল করতে অ্যাডভান্স টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে এবার পরীক্ষায় ছাত্রীদের এই সাফল্যকে ঘিরে খুশির হাওয়া বিহার জুড়ে।