করোনা আবহে দেশের শেয়ারবাজার থেকে নিফটির সূচক ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। ব্যবসা–বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, অর্থনীতিবিদরা বলতে শুরু করেন, দেশে অর্থনৈতিক মন্দা প্রবেশ করেছে। তবে এবার তা কাটিয়ে ধীরে ধীরে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে ভারতের বাজার। ব্যবসায়িক সংগঠন ‘কনফেডারেশন অব অল ট্রেডার্স’–এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেওয়ালির সময় লাভের মুখ দেখেছে ভারতের বাণিজ্যক্ষেত্রগুলি। এমনকী প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। প্রায় ৭ কোটি ব্যবসায়ী এবং ৪০ হাজার বাণিজ্য সংগঠন বলেছে, এই বৃদ্ধির পরিমাণ ১০.৮ শতাংশ। যা ছোট বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলির কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সুতরাং ভারতের যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ তা আপাতত মনে করা যাচ্ছে না। ছোট–বড়–মাঝারি ব্যবসায়ীরা ভাল ব্যবসা করতে পেরেছে। দেশে এখন আনলক–৫ চলছে। ফলে বহু পরিষেবা খুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষও একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত শুরু করেছে। তা ছাড়া ব্যবসার বিষয়গুলি খুলে গিয়েছে। লোকাল ট্রেন, মেট্রো খুলে যাওয়ায় ব্যবসা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের প্রায় ২০টি শহর থেকে কেনাবেচার তথ্য জোগাড় করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই শহরগুলির তালিকায় রয়েছে লখনউ, নাগপুর, আমদাবাদ, জম্মু এবং জয়পুর–সহ একাধিক বাণিজ্যকেন্দ্র।
রিপোর্টে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা–সহ একাধিক রাজ্যে বাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেকে। সারা দেশে বাজি ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তার বদলে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, বাড়ি সাজানোর জিনিস, উপহার, মিষ্টি, জামাকাপড়, জুতো কেনার দিকে মানুষ ঝুঁকেছেন বেশি। এপ্রিল–জুন ত্রৈমাসিকের থেকে এই সামান্য উন্নতি নিশ্চিতভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে জনতাকে।