আবগারি দুর্নীতি নিয়ে আজ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল সিবিআইয়ের। তবে সেই জেরার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন সিসোদিয়া। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সিসোদিয়ার দাবি মেনে নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়, আগামীতে ফের তলবের নয়া তারিখ জারি করা হবে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দীর্ঘক্ষণ 'তল্লাশি' চালিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার অফিস থেকে একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সিবিআই-এর একটি তদন্তকারী দল দিল্লির সচিবালয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার অফিসে গিয়েছিল। তবে সেটিকে 'অভিযান' বলে আখ্যা দিতে অস্বীকার করে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে আবগারি দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু রেকর্ড হাতে আসে। (আরও পড়ুন: রাখি সাওয়ান্ত সহ নামকরা টলিউড নায়িকার সঙ্গে অভিনয়, চর্চায় শাহিদের রঙিন জীবন)
উল্লেখ্য, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। মুখ্য সচিবের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই এই সুপারিশ করেন ভিকে সাক্সেনা। দিল্লির মুখ্য সচিবের রিপোর্টে আবগারি নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সিসোদিয়ার পাশাপাশি দিল্লির তৎকালীন আবগারি কমিশনার আরভ গোপী কৃষ্ণের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখ্য, আবগারি দপ্তর সিসোদিয়ার অধীনে।
এদিকে তদন্তে নেমে আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন সিসোদিয়ারা। ইডির অভিযোগ, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া ও অন্যান্য সন্দেহজনকরা বার বার তাদের ফোন বদলে ফেলেছেন। প্রায় ১.৩৮ কোটির আর্থিক প্রতারণাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এসব করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। এজেন্সির তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, একাধিক মদ ব্যবসায়ী, সরকারের পদস্থ আধিকারিক, দিল্লি আবগারি মন্ত্রী(শিসোদিয়া), অন্যান্য অভিযুক্তরা বার বার ফোন বদলেছেন।
ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, তদন্তকে গুলিয়ে দিতে যাবতীয় প্রমাণকে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এজেন্সির তরফে দাবি করা হয়েছে, যাবতীয় বড় প্রমাণ সব মোবাইলে ছিল। আর অন্তত ৩৬জন অভিযুক্ত গতবছরের মে থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত ১৭০টি মোবাইল ফোন ব্য়বহার করেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন। ইতিমধ্যেই ইডি ১৭টি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। আর দেখা যাচ্ছে সেই ফোনের তথ্য়ও মুছে ফেলা হয়েছে।