সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO), একটি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সংস্থা। ওষুধের গুণমান নিশ্চিত করতে মাসিক ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করে এটি। ২০২৩ সাল অর্থাৎ গত বছরের ডিসেম্বরে সর্বশেষ আপডেটে এই সংস্থা জানিয়েছে যে মোট ৭৮টি ওষুধ গুণমান ও নিরাপত্তা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। আর এর মধ্যে ৫১ শতাংশ ওষুধই তৈরি করা হয়েছে একটি রাজ্যেই।
সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজার থেকে ১০০৮টি ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, এর মধ্যে ৯৩০টি পাশ করেছে। যা থেকে ওষুধের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
যেসব ব্রান্ডের ওষুধগুলি সংস্থার মনোনীত হয়নি, সেগুলোর মধ্যে অনেক ওষুধই প্রধানত উচ্চ রক্তচাপ, মৃগীরোগ, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, বাত, ওজন হ্রাস এবং অ্যালার্জি, হাঁপানি, ক্ষুধা বর্ধক, ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করার জন্য, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, আঘাত, অস্ত্রোপচার, কাশি, ব্রঙ্কাইটিস এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যাগুলির মতো সাধারণ রোগগুলির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত ব্যবহৃত ওষুধগুলির নাম হল মন্টেলুকাস্ট সোডিয়াম এবং লেভোসেটিরিজিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট, টেলমিসার্টান ট্যাবলেট, প্রেগাবালিন ট্যাবলেট, সাইপ্রোহেপ্টাডিন এইচসিএল এবং ট্রাইকোলিন সাইট্রেট সিরাপ, সোডিয়াম ভালপ্রোয়েট ট্যাবলেট, অ্যামপিসিলিন ক্যাপসুল, অ্যামোক্সিসিলিন ট্রাইহাইড্রেট ক্যাপসুল, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, অ্যামক্সিসিলিন ট্রাইহাইড্রেট ক্যাপসুল, অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড, ট্রাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট। নিম্নমানের ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ওষুধের মধ্যে হাইড্রোক্লোরাইড, টারবুটালিন সালফেট, গুয়াইফেনেসিন এবং মেন্থল সিরাপও রয়েছে।
৪০টিই তৈরি এই রাজ্যে
উল্লেখ্য, ১০০৮টি ওষুধের মধ্যে নমুনাগুলি পরখ করা হয়েছিল চণ্ডীগড়, কলকাতা, মুম্বই ও গুয়াহাটির চারটি কেন্দ্রীয় ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে। তবে এই নমুনা পরীক্ষায় কোনও জাল (স্পুরিয়াস) ওষুধের খোঁজ মেলেনি বলে স্বস্তির খবর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার স্বাস্থ্যকর্তারা। উদ্বেগ একটাই, ওই ৭৮টি খারাপ গুণমানের ওষুধের মধ্যে ৪০টি ওষুধই তৈরি হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। এ প্রসঙ্গে সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধনি রাম শান্ডিল ঘোষণা করেছেন যে সরকার ওষুধের গুণমান নিশ্চিত করতে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) চালু করবে।
কোন বিচারে ওষুধগুলো গুণমান পরীক্ষা করা হয়েছে
৭৮টি ওষুধের গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থতার মূল কারণ হল, এগুলি অ্যাসে ও ডিজোলিউশন টেস্টে পাশ করেনি। ওষুধগুলি রক্তে মেশার পরে কাজ করে না। ট্যাবলেটের সব অংশেই সম পরিমাণ ওষুধও পৌঁছোয়নি। কোনো ওষুধ দ্রবীভূত হওয়ার পরেও পিএইচ মাত্রার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।