আচমকাই নোটিস জারি চিন সরকারের। বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় যা জিনিস লাগে তা আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য মজুত করে রাখুন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও যথেষ্ট পরিমাণ খাবার সহ অন্য়ান্য সামগ্রী সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে অক্টোবর মাসেই চিনের শানডং প্রদেশে ভারী বৃষ্টির জেরে ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পাশাপাশি অতিমারি পরিস্থিতির জেরে চিনের কিছু এলাকায় খাদ্য় সামগ্রীর সংকট মাথাচাড়া দেয়। এর সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা তো রয়েছেই। এসবের মধ্যে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের এই বিশেষ বিজ্ঞপ্তি।
তবে কী কারণে এই বিজ্ঞপ্তি তা নিয়ে খোলসা করে কিছু বলা হয়নি। এদিকে এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পরে নেটিজেনদের মধ্যেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। টুইটারের মতোই চিনের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্য়ম Weiboতে এই খবর একেবারে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে। এক Weibo ব্যবহারকারী লিখেছেন ২০২০ সালে যখন অতিমারিতে একেবারে গেল গেল অবস্থা তখনও এভাবে স্টক করার কথা বলেননি। এবারই প্রথম এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। আমরা কিছুটা ভয়ই পেয়ে যাচ্ছি। এই ধরনের আতঙ্কের খবর দেশের পক্ষে ছড়ানো ভালো নয়।
নেটিজেনদের এইসব প্রশ্নের উত্তরে কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না প্রভাবতি সংবাদপত্র দ্য ইকনমিক ডেইলির তরফে জানানো হয়েছে, অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া, কল্পনা করাটা নেটিজেনদের পক্ষে ঠিক নয়। এলাকায় যদি লকডাউন হয় তবে যাতে বাসিন্দারা সমস্যায় না পড়েন সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাাপাশি দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে কীভাবে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য নাগরিকরা তৈরি থাকবেন তারও একটা মহড়া হয়ে যাচ্ছে। দাবি ইকোনমিক ডেইলির।