কথায় এক, কাজে আলাদা। এভাবেই গত কিছুদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে চিন। মুখে বলছে বেজিং যে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে হবে, অন্যদিকে ক্রমশই সেনা বাড়িয়ে চলছে তারা পূর্ব লাদাখে। এরফলে এখন বেজিংয়ের ওপর আস্থা কার্যত তলানিতে ঠেকেছে নয়াদিল্লির।
শুধু যে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে প্ররোচনা দিচ্ছে চিন, তা নয়, উত্তরেও সেই কাজ করছে তারা। ফিঙ্গার ৪-এ সেনা দ্বিগুণ করে ফেলেছে লাল ফৌজ। জয়শংকরের সঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মস্কোতে আগামিকাল বৈঠক হবে। কিন্তু তাতে আদৌ কাজের কাজ কতটা হবে সেই নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
ভারত কোনও স্থান থেকে সেনা সরালে সেটা যে চিন দখল করে নেবে না, এই সংক্রান্ত কোনও নিশ্চয়তা নেই। প্যাংগংয়ের উত্তরে যেমন সুবিধাজনক অবস্থানে আছে চিন, দক্ষিণে ভালো অবস্থানে আছে ভারত। সেখানেই বারবার প্ররোচনামূলক আচরণ করছে লাল ফোজ।
তবে চিনের সমস্যা হল যে শীত আসছে। এত ঠান্ডায় ওখানে থাকতে অভ্যস্ত নয় পিএলএ। কিন্তু ভারতীয়দের সেই সমস্যা নেই কারণ সিয়াচেনের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আগামী কিছুদিনে কোনদিকে জল গড়ায় সেটাই দেখার।
চিনের যেটা সুবিধা সেটা হল লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অবধি রাস্তা আছে তাদের। অন্যদিকে অনেক কষ্ট করে সেখানে পৌঁছাতে হয় ভারতীয়দের। গালওয়ান পরবর্তী সময় চিনকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় ভারত। অন্যদিকে সংযত আচরণের পরিবর্তে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে লাল ফৌজ। সব মিলিয়ে সমাধান সূত্র এখনও অথৈ জলে।