জল্পনা সত্যিই হল আজ সন্ধ্যায়। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কীর্তি আজাদ হাত ছেড়ে যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। এখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। সেখানেই যোগ দিলেন বিহার রাজনীতির বলিষ্ঠ নেতা কীর্তি আজাদ। আর সঙ্গে সঙ্গে নীতীশের রাজ্যেও সূচনা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের।
আজ, মঙ্গলবার নয়াদিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে দলের পতাকা হাতে নেন কীর্তি। তারপর তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজ করব এবার থেকে। দল যে দায়িত্ব দেবে, সেটাই পালন করব। দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’ যশবন্ত সিনহা, লুইজিনহো ফালেরিহো, লিয়েন্ডার পেজ থেকে পবন ভার্মা। একের পর এক সর্বভারতীয় জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সামিল হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এই পরিস্থিতিতে কীর্তি আজাদের যোগদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিহারের রাজনীতিতে বড় নাম কীর্তি আজাদ। তাঁর বাবা ভগবত ঝা আজাদ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ভারতীয় বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদ নিজেও বিহারের দ্বারভাঙা থেকে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। গোয়ায় অভিনেত্রী নাফিসা আলি, নৃত্যশিল্পী রেমো ডিসুজা, টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আর এবার নয়াদিল্লিতে কীর্তি আজাদ, জেডিইউ নেতা পবন বর্মা যোগ দিলেন।
এইভাবে যোগদান পর্ব আসলে বৃত্ত সম্পূর্ণের পথে হাঁটা বলেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ২৬ বছর বিজেপিতে থাকার পর তিন বছর আগেই পদ্মফুল ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ধানবাদ কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কীর্তি। কিন্তু, সেবার জিততে পারেননি। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের নতুন অধ্যায়।