বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তিতে কালি লেপে দেওয়ার অভিযোগ। আর তারই প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তখনই লখনউয়ের আম্বেকরনগরে জনতার উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকী মহিলাদের উপরেও নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবারের ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ওই বচসার জেরে চারজন পুলিশ কর্মী ও পাঁচজন মহিলা জখম হয়েছেন। আম্বেদকরনগর প্রশাসনের তরফে খবর, অজ্ঞাত পরিচয় লোকজন গত ৫ নভেম্বর বাবাসাহেবের মূর্তিতে কালি দিয়ে দেয়।
ওয়াজিদপুরে একটি পার্কের সামনে ওই স্ট্যাচুটি ছিল। সোমবার সকালে প্রশাসনের তরফে মূর্তির চারদিকে সীমাণা প্রাচীর দেওয়া হচ্ছিল। সেই সময় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে যান। তারা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। বহু মহিলাও জড়ো হয়ে প্রতিবাদে শামিল হন।
এদিকে মহিলা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মহিলা পুলিশের বচসা শুরু হয়ে যায়। এরপর মহিলাদের হেনস্থার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সেই সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে বলে খবর। এদিকে তারপরই উত্তেজিত জনতা ইটবৃষ্টি শুরু করে।পুলিশের একটি গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ সুপার অজিত সিনহা বলেন, দুটি এফআইআর করা হয়েছে। একটি যারা আম্বেদকরের মূর্তিতে কালি দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। আর অপরটি যারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে।