এত বড় দুর্ঘটনা শেষ কবে দেখেছে দেশ তা নিয়ে চর্চা চলছে পুরোদমে। তবে অনেকের মতে, দুর্ঘটনার যে মাত্রা তাতে মৃত্যু বাড়তে পারে লাফিয়ে লাফিয়ে। গোটা করমণ্ডল এক্সপ্রেস কার্যত দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে বের করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অধিকাংশ যাত্রীর পায়ে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাচ্ছিলেন। রাত পর্যন্ত চলছে উদ্ধারকাজ।
এনডিআরএফের টিম একে একে যাত্রীদের উদ্ধার করে আনছে। অনেকে কামরার একাংশে আটকে পড়েছেন। তবে দুর্ঘটনার অভিঘাত যে এত ভয়াবহ হতে পারে তা ভাবতে পারছেন না উদ্ধারকারী টিম।
স্থানীয়দের দাবি ৬টা ৪৫ মিনিট নাগার করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে। পরপর কামরাগুলি উলটে যায়। কার্যত খেলনার মতো ওলট পালট হয়ে গিয়েছে কামরাগুলি। চিকিৎসার জন্য সঞ্চিত সব টাকা নিয়ে অনেকেই যাচ্ছিলেন চেন্নাইতে। মাঝরাস্তায় সব শেষ।
প্রয়োজনে এয়ারলিফ্ট করে যাত্রীদের বড় হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যাপারেও চেষ্টা হতে পারে। উদ্ধারকাজে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ওড়িশা প্রশাসন, রেল,একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বায়ুসেনাও ঝাঁপিয়ে পড়েছে উদ্ধারে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরায় খোঁজ চলছে ভেতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না। একেবারে দেশলাই বাক্সের মতো হয়ে গিয়েছে ট্রেনের কামরায়। উপড়ে গিয়েছে রেললাইন। তার নীচে কেউ আটকে পড়ে আছেন কি না সেটা দেখা হচ্ছে। এনডিআরএফের জওয়ানরা সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালাচ্ছেন জীবিত অবস্থায় যাতে তাঁদের উদ্ধার করা যায়। রাতভর চলবে কাজ। এসেছে ডগ স্কোয়াডের কর্মীরা।
কীভাবে দুর্ঘটনা? কার দোষ? তার থেকেও এখন বড় লক্ষ্য জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাত্রীদের।