একে করোনাভাইরাস গুজবের জেরে বিপর্যস্ত দেশের পোলট্রি শিল্প। নিত্যদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষতির বহর। এরইমধ্যে যোগ হয়েছে লকডাউনের জন্য মুরগিদের খাবারের আকাল। সাঁড়াশি চাপে তাই বাধ্য হয়ে মুরগিদের জীবন্ত পুঁতে দিচ্ছেন পোলট্রি মালিকরা।
আরও পড়ুন : COVID-19 Update: এই নম্বরে ফোন বা হোয়্যাটসঅ্যাপে করলে বাড়িতেই মিলবে চাল-আলু-দুধ
মুরগির মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের গুজব ছড়ানোর পর থেকে টালমাটাল পোলট্রি শিল্প। হুড়মুড়িয়ে নেমেছে চাহিদা। অথচ ইতিমধ্যে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, করোনার সঙ্গে মুরগির কোনও সম্পর্ক নেই। তারপরও লোকসানের ছবিটা বদলায়নি। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা দেশেই একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে পোলট্রি শিল্পকে। সঙ্গে লকডাউনের জেরে মুরগির খাবারও ঠিকমতো মিলছে না।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে টাকা-পয়সা নাড়াচাড়ায়, সতর্ক করল ‘হু’
তাই বাধ্য হয়ে জীবন্ত মুরগিকে মাটিতে পুঁতে দিচ্ছেন অনেকে। হরিয়ানার ভিওয়ানির এক পোলট্রি ফার্মের মালিক রাজবীর সিং জানান, দানার (মুরগির খাবার) আকালে গত ১০ দিনে ১২,০০০-এর বেশি মুরগি জীবন্ত পুঁতে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'গত চার মাসে আমার ২৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, অগস্টের আগে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।'
আরও পড়ুন : COVID-19 Update: সংক্রমণ রুখতে মোদীর ভরসা 'করোনা কবচ'
রাজবীরের মতোই আরও ভিওয়ানির এক পোলট্রি মালিক বিকাশ মেহলা জানান, গত বৃহস্পতিবার ৬,৫০০ মুরগি পুঁতে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'লকডাউনের জেরে বাজরা ও দানা জোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যাতে অনাহারে না মারা যায় এবং আরও রোগ ছড়ায়, সেজন্য মুরগিদের পুঁতে দিয়েছি।'
আরও পড়ুন : Coronavirus Update: মৃত্যু কালিম্পঙের করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ার, রাজ্যে মৃত বেড়ে ২
তবে শুধু পোলট্রি ফার্ম মালিকদের নয়, দানা ব্য়বসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। জিন্দের এক দানা ব্যবসায়ী বলেন, 'করোনা গুজবের কারণে মুরগির মাংস ও ডিমের চাহিদা ব্যাপক পড়েছে। আমারও ক্ষতির বহর দেড় কোটি টাকা ছুঁয়েছে।'