করোনাভাইরাসের দাপট রুখতে আমেরিকা ও পশ্চিমী দেশগুলির মতো শহর তালাবন্দি করা অসম্ভব পাকিস্তানে। মঙ্গলবার এই কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
Covid-19 সংক্রমণে লাগাম দিতে সম্প্রতি মার্কিন ও ইউরোপীয় শহরগুলির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালাত, সিনেমা হল ও রেস্তোরাঁ-সহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ও পরিষেবা বন্ধ করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ভারত-সহ এশিয়ার অধিকাংশ দেশে।
মঙ্গলবার ইমরান জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রথমে এমনই পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হলেও, পরে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংসের আশঙ্কায় সেই পথ থেকে সরে এসেছেন পাক প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।
তিনি বলেন, ‘দেশের ২৫% জনসংখ্যা চূড়ান্ত দরিদ্র। আমরা যদি শহরগুলি বন্ধ করে দিই, তা হলে একদিকে করোনার থেকে নিরাপদ থাকলেও মানুষ খাদ্যাভাবে মারা যাবে।’
উল্লেখ্য, বিশ্ব ব্যাংক সূত্রে দেনার দায়ে জর্জরিত পাকিস্তান করোনাভাইরাসের চাপে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ঋণের কিস্তি শিথিল করার জন্য সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে দরবারও করেছে ইসলামাবাদ।
তবে সংক্রমণের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে ক্রিকেট মাঠ ও স্টেডিয়ামগুলি বন্ধ রেখেছে পাক সরকার। সেই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও।
জীর্ণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, ভাঙাচোরা হাসপাতাল, আলিঙ্গন ও করমর্দনের সামাজিক প্রথা, চূড়ান্ত দারিদ্র এবং শিক্ষার অভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানে Covid-19 যে দ্রুত মহামারির রূপ নিতে পারে, সেই পূর্বাভাস আগেই করেছেন সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা।