সুরাটের বেদ ভৈরব ব্রিজ। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল মোটামুটি ৪০ দিন আগে এই ব্রিজের উদ্বোধন করেছিলেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এবার সেই ব্রিজে বিরাট ফাটল।
গত ১৭ মে সেই ব্রিজের উদ্বোধন করা হয়েছিল। ব্রিজ তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছিল ১১৮ কোটি টাকা। প্রায় ১.৫ কিমি দীর্ঘ এই ব্রিজ। চার লেনের বিরাট ব্রিজ। আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি এই ব্রিজ। আট লাখ মানুষের ভরসার জায়গা এই ব্রিজ। সেই ব্রিজেই এবার বড় ফাটল। সেতুর বয়স মাত্র মাত্র ৪০ দিন। তার মধ্যেই এই অবস্থা।
ঘটনার খবর পেয়েই সুরাট কর্পোরেশনের বিরোধী দলনেতা আপ কাউন্সিলর ধর্মেশ ভান্ডারি জায়গাটি দেখেছেন। মনে করা হচ্ছে জলের টানে বা জল জমে এই কাণ্ড হতে পারে। তবে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই কর্মীরা দ্রুত গিয়ে মেরামতির ব্যবস্থা করেন। যাতে এই ফাটল না বাড়ে সেটাও দেখা হয়েছে।
এদিকে এভাবে ৪০ দিনের ব্রিজে এতবড় ফাটলকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। বলা হচ্ছে দুর্নীতির জেরেই এই কাণ্ড। এনিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে কি এখানে নির্মাণ ত্রুটি ছিল? যার জেরে এই কাণ্ড!
তবে আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা যাতে না হয় সেকারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর কোথাও ফাটল রয়েছে কি না সেটা জানা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে শোরগোল একেবারে চরমে। আপ কাউন্সিলরের দাবি এনিয়ে তদন্ত করতে হবে। বিরোধীরা দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলছেন। আপ নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এমন ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এভাবে ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছিল। প্রথমবার বৃষ্টি পড়তেই এই অবস্থা।
এদিকে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। এভাবে নতুন ব্রিজে যদি ফাটল দেখা দেয় তবে আগামী দিনে কী হবে? বিরোধীদের দাবি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতিকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। না হলে রাজ্যের অন্যান্য় ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রেও এই ধরনের দুর্নীতি বাড়তেই থাকবে।