প্রদীপ কুমার মৈত্র
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের তিনদিন ব্যপী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধিসভা। সেখানে দত্তাত্রেয় হোসাবালেকে ফের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করা হল। ৭০ বছর বয়সি দত্তাত্রেয় সেই ২০২১ সালে এই চেয়ারে বসেছিলেন। ফের তিনি ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই পদ পেলেন।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক এই আরএসএস নেতার। মোদী ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি। কার্যত হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে আরএসএস। তারই অঙ্গ হিসাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। আর হোসাবালে ও মোদী সরকারের মধ্য়ে সম্পর্ক বজায় রেখে আরএসএসের ভাবাদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
আরএসএসের একেবারে তৃণমূলস্তর থেকে উঠে এসেছেন তিনি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মাধ্য়মে তিনি আরএসএসের ছায়ায় এসেছিলেন। একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর হাত ধরেই উঠে এসেছেন।
সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সিদ্ধান্ত অনুসারেই ২০২১ সালে দত্তাত্রেয় হোসাবালেকে বসানো হয়েছিল ওই গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে। মূলত বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যাতে যথাযথ থাকে সেকারণেই তাঁকে ওই চেয়ারে বসানো হয়। তবে তিনি তাঁর মিশনে অনেকটাই সফল। রামমন্দির তৈরি করা, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অন্যতম শরিক ছিলেন তিনি।
অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ নেতা তিনি। কাজকে সবার আগে গুরুত্ব দেন। স্বয়ংসেবকদের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করা, প্রগতিশীল মনোভাবকে ব্যক্ত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ নানা পদক্ষেপ তিনি নিয়েছেন। সামাজিক সাম্যতা রক্ষার জন্য় গ্রামে এক মন্দির, একটি কুয়ো ও একটি শ্মশানের পক্ষপাতি আরএসএস। নরম হিন্দুত্ববাদের অন্যতম প্রবক্তা তিনি। কিন্তু সঙ্ঘের মূল যে লক্ষ্য তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন অতীতে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার পক্ষপাতি তিনি।
আরএসএসের মুখপাত্র দৈনিক তরুণ ভারতের চিফ এডিটর গজানন নিমদেও জানিয়েছেন, সামাজিক সাম্যতা রক্ষা করা জাতিভিত্তিক অসাম্যতাকে দূর করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন দত্তাত্রেয় হোসাবালে। সমাজের মধ্যে সাম্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন বার বার।