চিকিৎসার খরচের বোঝা হু হু করে বেড়েছে, হোটেল ভাড়া করে অতিরিক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করে আত্মহত্যা ২৪-এর যুবকের

এই ঘটনা দিল্লির নীতেশের। দিল্লির আদর্শ নগরের একটি এলাকায় একটি হোটেল বুক করেন নীতেশ। সেখানেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় পরের দিন। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, নীতেশ যখন হোটেলে ঢোকেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগ। পরে জানা যায়, সেই ব্যাগের ভেতরে ছিল ছোট একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার।

চিকিৎসার ভার আর বহন করতে না পেরে আত্মঘাতী ব্যক্তি।

চিকিৎসার খরচের বোঝা যে কিছু ক্ষেত্রে কতটা অভাবনীয় পরিস্থিতি তৈরি করে, তার উদাহরণ সদ্য ঘটে যাওয়া দিল্লির এক ঘটনা। সেখানে ২৪ বছর বয়সি এক যুবক নিজের চিকিৎসার খরচের বোঝা বাড়তেই, শেষে আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নেন। এই আত্মহত্যার ধরণও অত্যন্ত মর্মান্তিক।

এই ঘটনা দিল্লির নীতেশের। দিল্লির আদর্শ নগরের একটি এলাকায় একটি হোটেল বুক করেন নীতেশ। সেখানেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় পরের দিন। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, নীতেশ যখন হোটেলে ঢোকেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগ। পরে জানা যায়, সেই ব্যাগের ভেতরে ছিল ছোট একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার। সেই অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে মাত্রাতিরিক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করে, নীতেশের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২৪ বছর বয়সি এই যুবক তাঁক সুইসাইড নোটে জানিয়েছেন, তাঁর চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হচ্ছিল, তাতে বাবা মায়ের ওপর বাড়ছিল বোঝা। তার জেরেই বাবা মায়ের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো রাস্তায় হাঁটে এই যুবক। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় সকলেই হতবাক। (শুধুমাত্র মার্চ মাসেই গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ৬ বার ভূমিকম্প! কিছু দিক একনজরে)

অনুমান, হোটেলের রুম আত্মহত্যার জন্যই ভাড়া করে সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে অতিরিক্ত অক্সিজেন নিয়ে মারা গিয়েছেন নীতেশ। পুলিশ বলছে, হোটেলের ঘর থেকে যখন নীতেশের দেহ উদ্ধার হয়, তখন তাঁর মুখ বাঁধা ছিল একটি প্লাস্টিকে। আর প্লাস্টিকের সঙ্গেই সংযুক্ত ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার। জানা যাচ্ছে, অক্সিজেন পয়জনিং থেকে নীতেশের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, চিকিৎসকরা বলছেন, মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করলে তা ভয়ঙ্করভাবে কমিয়ে দেয় হার্টরেটকে। তার জেরেই ঘটে মৃত্যু।