ইন্ডিগো বিমানের পাইলটদের আপাতত ডিউটি থেকে বসিয়ে দেওয়া হল। রবিবার তাঁরা প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই দিল্লি থেকে বিমান ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে খবর। এরপরই তাঁদের নাম আর নতুন করে রোস্টারে স্থান দেওয়া হয়নি।
বিমান সংস্থার তরফে মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২৮ জানুয়ারি দিল্লি থেকে বাকুর দিকে যাচ্ছিল প্লেনটি। 6E 1803 । ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি বাকুর দিকে রওনা দিয়েছিল। রাত ৭টা বেজে ৩৮ মিনিটে এই বিমান রওনা দেয়। কিন্তু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার আগেই বিমানটি রওনা দেয় বলে অভিযোগ।
এক আধিকারিকের মতে ০৯ নম্বর রানওয়েতে ছিল বিমানটি। বিমানটিকে টেক অফের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পাইলট সেটা উড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। এদিকে ঘটনার পরেই ডিজিসিএর কাছে নালিশ করা হয়। তারপরই ওই পাইলটকে ডি রোস্টার করা হয়েছে বলে খবর।
তবে এনিয়ে ডিজিসিএ আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করেননি।
তবে এয়ারপোর্টের এক আধিকারিকের মতে, তদন্ত করা হবে। তার আগে তাদের আপাতত ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না। তবে আধিকারিকদের মতে, বিমানটিকে টেক অফের জন্য লাইনে আসতে বলা হয়েছিল। পরের নির্দেশের পরেই এটা টেকঅফ করত। কিন্তু সম্ভবত ব্যাপারটা বুঝতে না পেরে ক্লিয়ারেন্স মিলেছে এটা মনে করেই পাইলট বিমান ছেড়ে দেন।
তবে তাদের দোষ যদি প্রমাণিত হয় তারপরই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সম্প্রতি ইন্ডিগোর ফ্লাইট দেরিতে চলা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, আর কোনওদিন ইন্ডিগোর বিমানে চড়ব না। তিনি এই বিমান দেরির জেরে একটা আন্তর্জাতিক বিমান মিস করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে এই পোস্টের পরেই ইন্ডিগো বিমান সংস্থা বিমান ভাড়া ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
ডিডি বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ইন্ডিগোতে আমার গোটা জীবনে এত বাজে অভিজ্ঞতা এই প্রথম হল। কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরুগামী বিমান ছিল রাত ১০টায়। সেটা ছাড়়ল ভোর ৪টে বেজে ৪১ মিনিটে। ৬বার দেরি করে মোট ৭ ঘণ্টা দেরি হল। ইন্ডিগো যে বলে সবসময় অন টাইম এটা ভুল। আমি ইন্টারন্যাশানাল ফ্লাইটও মিস করলাম। আমি ওই বিমানে আর কোনওদিন চড়ব না। তিনি লিখেছিলেন, এয়ারলাইন্স বিকল্প ফ্লাইট দিতে পারত। রিফান্ড করাও দরকার ছিল।