মন্ত্রীর ভাগ্নের তাণ্ডবে হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনায় তোলপাড় রাজস্থানে। জানা গিয়েছে, বুধবার মদ্যপ অবস্থায় মন্ত্রী প্রতাপ সিং কাচারিয়াওয়াসের ভাগ্নে হর্ষদীপ সিং কাচারিয়াওয়াস জয়পুরের এক হোটেলে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ধরা পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাজ্যের মন্ত্রীর আত্মীয়কে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গোটা দিন ধরে ভাইরাল হতে থাকে রাজস্থানে। ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন হোটেলের কর্তা অভিমন্যু সিং। তিনি বলছেন, প্রতাপ সিং কাচারিয়াওয়াসের ভাগ্নে হর্ষদীপ সিং ও তাঁর ছয় সঙ্গী যখন হোটেলে প্রবেশ করেন, তখন থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। জানা যায়, তাঁরা রাত ১০ টা ১৫ মিনিট নাগাদ হোটেলে প্রবেশ করেন। অভিমন্যু সিং বলেন, পাঁচ থেকে ছয় জন ওই হোটেলে মদ্যপ অবস্থায় প্রবেশ করেছিলেন। হোটেলের মালিকের দাবি, সেই সময়ই হর্ষদীপ হোটেলের একজন অতিথির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। ঝগড়ার পর, মন্ত্রীর আত্মীয় দাবি করেন, হোটেলের যত স্টাফ রয়েছেন, সকলে যেন হোটেলের সমস্ত ঘর খুলে দেখেন যে ‘ওই অতিথি কোন ঘরে রয়েছেন।’ হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘এই ঘটনা হোটেলের নীতির বিরুদ্ধ। অতিথির নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। আমরা অতিথির তথ্য তাঁকে দিতে অস্বীকার করি।’
হোটেলের কর্তা অভিমন্যু সিং বলছেন, এরপর ‘ওঁরা ২০ থেকে ২৫ জনকে ডেকে পাঠায় আর হোটোলে ব্যাপক ভাঙচুর করে।’ হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ‘ আমাদের ফ্রন্ট অফিস ডেস্ক, রেস্তোরাঁ সব কিছু হাইজ্যাক করে নেওয়া হয়েছিল। আর স্টাফদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, কারণ তাঁরা রুখতে গিয়েছিলেন।’ এরপর পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে তখনই হোটেল থেকে পুলিশকে ফোন করা হয়। ১০০ নম্বর ডায়াল করা মাত্রই ২ জন পুলিশ মাত্র সেখানে এসে পৌঁছন। হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ‘ওই অতিথিকে খুঁজে বের করে তারা (হর্ষদীপের লোকজন), তারপর ওই অতিথিকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ওই ২৫ জন মিলে মারেন পুলিশের সামনে। গোটা ঘটনা বন্দি হয়েছে সিসিটিভিতে।’
হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পুলিশ পরে সেই অতিথিকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এদিকে, হর্ষদীপের ডাকে যে ২৫ জন ওই হোটেলে এসেছিলেন সেই রাতে,তাঁরা হোটেলে রাত ৩ থেকে ৪ টে পর্যন্ত থেকে যান। বারবার তারা ‘মদ চাইছিলেন, খাবার চাইছিলেন, তবে তাঁরা তার বিলের টাকা দেননি। তারপর তারা বেসমেন্ট যান, যেখানে সিসিটিভি ফুটেজের রেকর্ড ছিল। সেটি তারা ভাঙার চেষ্টা করছিলেন। যদিও আমরা তা বাঁচিয়ে নিই।’