উৎসবের মরসুমে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল গুজরাটে। গরবা নৃত্য চলাকালীন গত ২৪ ঘণ্টায় গুজরাটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১০ জনের। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এই ঘটনার পরেই এই নাচের আয়োজকদের নৃত্য চলাকালীন জরুরী ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১০ জনের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সি হল ১৭ বছর বয়সি এক কিশোর।
আরও পড়ুন: কেউ বলেন হার্ট অ্যাটাক, কেউ বলেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট! দুটো একদম আলাদা, জানেন কি
জানা গিয়েছে, ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোর রাজ্যের খেদা জেলার কাপদভঞ্জ শহরের বাসিন্দা। বীর শাহ নামে ওই কিশোর গরবা নৃত্য চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ বোধ করে। তার নাক দিয়ে রক্তপাত শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবা-মাও উৎসব পালন করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে তার মৃত্যু হয়।
এরপরই শোকে ছায়া নেমে আসে ওই পরিবারে। মৃত কিশোরের বাবা রিপাল শাহ। হাত জোড় করে উৎসবে সামিল হওয়া মানুষদের আবেদন করে বলেন, ‘অনুগ্রহ করে সচেতন থাকুন। বিশ্রাম না নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গরবা নাচ করবেন না। আমি আজ আমার ছেলেকে হারিয়েছি। আমি চাই না অন্য কারও সঙ্গে একই ঘটনা ঘটুক।’
জানা গিয়েছে , ওই কিশোর যেখানে গরবা নাচ করছিল মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই সেখানে উপস্থিত মানুষজন তার স্মরণে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেছিলেন। পরের দিনের জন্য অনুষ্ঠানটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন আয়োজকরা। কাপদভঞ্জের অন্যান্য অনেক আয়োজকরাও অনুষ্ঠান বাতিল করেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই নাচ করার পরে আরও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ডায়াল করা হয়েছিল। এই অবস্থায় সরকার বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সব সময়ের জন্য অ্যাম্বুলেন্স রেখে দিতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেউ অসুস্থ বোধ করলেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। এছাড়াও, আহমেদাবাদ, নভসারি এবং রাজকোটেও মৃত্যুর পাশাপাশি অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা মানুষকে জীবনযাত্রার ধরন বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বসে থাকা চলবে না। আর সেইসঙ্গে ফ্যাট জাতীয় খাবারের থেকে দূরে থাকতে হবে।