আরিয়ান প্রকাশ
ই-বর্জ্য় নিয়ে এবার বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার বছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি এনিয়ে মতামত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুসারে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন টন ই-ওয়েস্ট(e-waste) নিষ্কাশন করা হয়। তিনি বলেন, ভাবতে পারেন এর পরিমাণটা ঠিক কতটা? মানব সভ্যতার ইতিহাসে যত বাণিজ্য়িক বিমান তৈরি করা হয়েছে তার মোট পরিমাণ যতটা সেটাও ই ওয়েস্টের থেকে কম হয়ে যাবে। যেমন ধরুন প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ ল্য়াপটপকে বাতিল করে ফেলে দেওয়া হয়। নানা পদ্ধতির মাধ্যমে অন্তত ১৭ ধরনের মূল্যবান ধাতু এই ই-ওয়েস্ট থেকে পাওয়া সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্জ্য় পদার্থ থেকে সোনা বের করার চেয়ে ই-ওয়েস্টের ব্যাপারটা কম কিছু নয়।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি যখন তাঁর পুরানো ডিভাইসটি বাতিল করে দেন তখন তাঁর এটা মাথায় রাখা দরকার সেটি যথাযথভাবে নষ্ট করা হচ্ছে কি না…যদি ই-ওয়েস্টকে যথাযথভাবে নষ্ট করা না হয় তবে তা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে। আর যদি যথাযথভাবে করা হয় তবে তা সার্কুলার অর্থনীতির একটি বড় অংশ হতে পারে। অন্যদিকে পেটেন্ট নথিভুক্তিকরণ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গত ৫ বছরে পেটেন্টে রেজিস্ট্রেশন প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে এই পর্যায়ে ভারতের স্থান ছিল ৮০ তম স্থানে। বর্তমানে তা হয়েছে ৪০।
অন্যদিকে মূলত ভারতবর্ষ তথা গোটা বিশ্বের নিরিখে ই-ওয়েস্ট নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবার দেখে নেওয়া যাক ই-ওয়েস্ট ব্যাপারটি ঠিক কী ?
ইলেকট্রনিক বর্জ্যকে সংক্ষিপ্ত আকারে ই-বর্জ্য বলে উল্লেখ করা হয়। মূলত বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম যেগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে সেগুলিকেই ই-বর্জ্য বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিদিন গোটা বিশ্বজুড়ে এই ধরনের বর্জ্য জড়ো হচ্ছে। সাধারণভাবে বিকল হয়ে যাওয়া ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ক্যামেরা, ওয়াশিং মেশিন সেগুলিকে ই-বর্জ্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এগুলি ব্যবহার করা না হলে সেগুলি উপযুক্তভাবে নষ্ট করা বা পুনরায় ব্য়বহার উপযোগী করে তোলার মতো ব্য়বস্থাও অনেক সময় থাকে না। যার ফলে পরিবেশের পক্ষে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেকেই ফেরিওয়ালা বা ভাঙাচোরা সামগ্রীর দোকানে সেগুলি বিক্রি করে দেন।