করোনা পরিস্থিতি আরও নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। কয়েকদিন আগে সর্বদলীয় বৈঠকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রচারে কোপ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ক্যম্পেন কার্ফু। যেখানে সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠায় নির্বাচন আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চেয়ে পাঠালো নির্বাচন কমিশন। সেখানে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে র্যালি করার কতটা যৌক্তিকতা আছে তা জানতে চেয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু এতকিছুর পরও বাকি দফার নির্বাচনগুলিকে এক দফায় করার কোনও চিন্তাভাবনা করছে না নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রত্যেকটি রাজ্যই আলাদা। তাই তাদের ক্ষেত্রে বিচারও আলাদা। তবে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই অষ্ঠম দফার প্রচার বাতিল করেছেন। আর ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচার আজই শেষ হচ্ছে।’ এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন আধিকারিকদের কাছ থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে বাকি তিন দফার ভোট ২২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিল। তাই ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার বন্ধ করে দিতে হবে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধী, সূর্যকান্ত মিশ্ররা আর বড় কোনও সভা–সমাবেশ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনকে তাঁরা বারবার জানিয়েছেন বাকি তিন দফার নির্বাচনকে এক দফায় করা হোক। যদিও তাতে কর্ণপাত করেননি নির্বাচন কমিশন। বাইরে থেকে লোক আনার জন্যই এই করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রবিবার এই রাজ্যে ৮ হাজার ৪১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৮ জন মারা গিয়েছে একদিনে।