আব্রাহাম থমাস
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সাধারণ বা সংরক্ষিত আসনে কোনও প্রভাব ফেলবে না। সুপ্রিম কোর্টে কার্যত জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কার্যত দেশের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পক্ষ নিয়েই ব্যাট ধরল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার পেছনে যুক্তিও দিয়েছে সরকার। সরকারের দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও প্রায় ২ লাখ অতিরিক্ত আসন তৈরি করা হবে। এজন্য় বাজেটে ৪৩১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই নিরিখে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য় ১০ শতাংশ কোটা থাকলে তাতে সংরক্ষিত বা ওপেন ক্যাটাগরি বিভাগে কোনও প্রভাব পড়বে না।
পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে তৈরি সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে দুপাতার একটি এফিডেভিটও কেন্দ্রের তরফে জমা দেওয়া হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, সংরক্ষিত বা ওপেন ক্যাটাগরি বিভাগের ক্ষেত্রে কোনও সমস্য়া হবে না।
মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিসের তরফে ডেপুটি সেক্রেটারি এনএস ভেঙ্কটেশ্বরন জানিয়েছেন, এনিয়ে হিসেব নিকেশ করা হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করলে ও তার সঙ্গে আনুপাতিক হারে এসসিএসটি , ওবিসিদের জন্য় সংরক্ষণে কোনও প্রভাব না ফেলেও ও সাধারণ ক্যাটাগরিদের থেকে আসন কাটছাঁট না করলেও মোটামুটিভাবে ২৫ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করতে হবে। ২০১৮-১৯ এর হিসেবটা দেখে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে ২১৪,৭৬৬ অতিরিক্ত আসন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। ৪৩১৫.১৫ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের প্রধান দেশের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছেন স্কলারশিপ সহ অন্যান্য মাধ্যমে কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের আর্থিক সহায়তা করতে চাইছে সরকার। তবে দিন দুয়েকের মধ্যে এব্য়াপারে তথ্য আদালতের কাছে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল।