মহম্মদ সুলেমান। রাজস্থানের আজমীরের বাসিন্দা। তিনি সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করেন। ররিবার সকালে তিনি বিমানে দিল্লি বিমান বন্দরে নামেন। এদিকে বিমানবন্দরের বাইরে বের হতেই দুজন ব্যক্তি নিজেদের শুল্ক দফতরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে সুলেমানিকে আটকায়। এরপর তারা তার পাসপোর্ট নিয়ে নেয়। পরে গাড়িতে চাপিয়ে তারা মহীপালপুরে নিয়ে যায়।
পরে একটি নির্জন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে সুলেমানির কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি তারা কেড়ে নেয়। এরপর সৌদি মুদ্রায় প্রায় ১৯,০০০ রিয়াদ মানে ভারতীয় টাকায় ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। ভারতীয় মুদ্রায় ২০০০ টাকাও ছিনতাই করে তারা। তারা জিজ্ঞাসা করে এই মোবাইল ও বিদেশি মুদ্রা সে কোথায় পেল? এরপরই তাকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে তারা চলে যায়। আর যাওয়ার সময় বলে যায়, বড় অফিসারকে তারা ডেকে নিয়ে আসছে।
এরপরই গোটা বিষয়টি বুঝতে পারেন সুলেমানি। তিনি পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন। আসলে তারা নকল কাস্টমস অফিসার। তারা কাস্টমস অফিসার সেজে বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিল। এরপর সুলেমানি বের হতেই তারা তাকে ধরে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তারা ছিনতাই করার জন্য়ই ছক কষেছিল বলে পুলিশ মনে করছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রতারণার মামলা শুরু করেছে। কারা এর পেছনে রয়েছে তা দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখা হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে অনেক সময় বিদেশ থেকে অবৈধভাবে অনেক মূল্যবান জিনিস নিয়ে আসা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেক্ষেত্রে অভিযান চালায় কাস্টমসের আধিকারিকরা। তবে এবার অনেকটাই সেই কায়দায়তেই লুঠের অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই ব্যক্তিকে একেবারে বিমানবন্দরের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্জন জায়গায় লুঠপাট চালানো হয়। এই ধরনের কোনও চক্র এলাকায় কাজ করছে কি না সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কারণ তারা আরও বিমান যাত্রীদের সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করছে।